ডিসক্লেইমার ১: এই ব্লগ পইরা অতিউৎসাহী কেউ ধরা খাইলে আমার কিছু করার নাই।
ডিসক্লেইমার ২: এই লেখার যাবতীয় চরিত্র ও ঘটনা বাস্তবিক থুক্কু কাল্পনিক ধইরা পড়তে হইবো, লেখক কি চিন্তা কইরা লেখছে সেইটা খুজার চেষ্টা করা যাইবো না।
এইবার তাইলে ঘটনায় আসি। ঘটনা আমার এক বন্ধুর কাছ থেইক্যা শুনা। তার বন্ধুর ঘটনা। আমার বন্ধুর বন্ধুর নাম ধরি রাসেল।
রাসেল একবার খুব টাকা পয়সার সমস্যায় পড়ছে। কি জানি এক দরকারে তার হাজার দশেক টাকার দরকার। কোন ভাবেই টাকার যোগাড় করা যাইতেছে না। এর কাছে, ওর কাছে চাইয়াও কোন লাভ হইতেছে না, কেউ ওরে টাকা ধার দিবার চায় না, অতীত হিস্টোরি কয়, রাসেল টাকা পয়সা ধার নিলে ফেরত দেওয়ার কথা ভুইল্যা যায়। কয়দিন এইদিক সেইদিক কইরা রাসেল গেল তার এক বন্ধুর কাছে, তার বন্ধু কয়, তরে আমি টাকা দিমু না, তয় একখান বুদ্ধি দেই, কামে দিব।
বন্ধুর বুদ্ধি মত রাসেল এক অফিসের দারোয়ানরে ম্যানেজ করল, ৫০০ টাকার বিনিময়ে সে এক শুক্রবারের জন্য অফিসের একটা রুম খোলার ব্যবস্থা করবো। তারপর হইলো আসল কাজ, একটা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ম্যানেজ করা আর প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া। যাই হোক একাউন্ট ম্যানেজ কইরা সে পত্রিকায় একটা চাকুরির বিজ্ঞাপন দিল ওই অফিসের ঠিকানা দিয়া, শুক্রবারে সরাসরি ইন্টারভিউ, এর সাথে ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট লয়া আইতে হইবো।
যাউগ্গা, যথারীতি ইন্টারভিউ নেওয়া হইছে, রাসেল আর তার ২ বন্ধু মিলা সারাদিন ইন্টারভিউ নিছে। প্রত্যেক প্রার্থীরে জানাইয়া দেয়া হইছে, অন্য এক তারিখ এ পত্রিকায় রেজাল্ট দেওয়া হইবো, পরে আবার বিজ্ঞাপন দিয়া ৬ জনের নাম প্রকাশ করা হইছে যাগো ফাইনাল ইন্টারভিউ এর জন্য সিলেক্ট করা হইছে। এই ৬ জনের কেউ ওইখানে ইন্টারভিউ দিতে আসে নাইক্কা ।
রাসেল পরে আইসা আমার বন্ধুরে কাহিনী কইয়া বলছিল, দোস্ত ঢাকায় টাকা উড়ে, খালি ধরবার জানতে হয়।
শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০
ঢাকায় টাকা উড়ে, খালি ধরবার জানতে হয় B-)
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন