শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০

অধরা

এক.

মোবাইল অন করার পর দেখি ক্রমাগত কয়েকটি টেক্সট মেসেজ এসে গেল। কেন মোবাইল অফ সেটির কৈফিয়ত চেয়ে সবগুলো মেসেজ। একটি একটু আলাদা, তাতে লিখা, আমি আগামী মঙ্গলবার যাচ্ছি, তুমি যদি চাও তাহলে আমার সাথে যেতে পার। স্বাভাবিকভাবেই মনে হবে, যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন আমার ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে। কিন্তু আসলে ঘটনা সেরকম না, এই মেসেজ এর মানে হলো, আমি আগামী মঙ্গলবার যাচ্ছি, তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে। আমি ফিরতি মেসেজ পাঠালাম, মঙ্গলবারে তো আমার অফিস অাছে। দুই মিনিটের মাথায় যে রিপ্লাই এলো, তাতে আমার রাজি না হয়ে আর কোন উপায় থাকলো না। সম্পর্কের দোহাই দিলে তখন কি আর কিছু করার থাকে?

অধরার সাথে আমার পরিচয় অনেক আগের, কিন্তু ভালোভাবে মেশা কিছুদিন আগে থেকে। ওর কথাবার্তার মধ্যে সবসময় একটা কর্তৃত্বের সুর থাকে। বিশেষকরে আমাকে যখন কিছু করতে বলে। ভাবখানা এমন যে, তুমি চাইলে করতে পার অথবা নাও করতে পার, কিন্তু আমি যখন বলেছি তখন তোমাকে করতেই হবে। তাড়াহুড়ো করে আমি অফিসে চলে এলাম। অফিসে এসে কল দিলাম,
- তুমি কিসে যেতে চাও, বাস নাকি ট্রেন?
- ট্রেন। সকালের দিকে একটা ট্রেন আছে।
- ঠিক আছে। তাহলে তুমি টিকেট কেটে ফেল। ট্রেন স্টেশন তো তোমার বাসা থেকে কাছেই।
- আচ্ছা ঠিক আছে, টিকেট কাটা হয়ে গেলে আমি তোমাকে জানাচ্ছি।
- একটু আগেভাগেই জানিও। আমাকে আবার ছুটি নিতে হবে।
- আচ্ছা ঠিক আছে।
আমি একরকম নিশ্চিত যে, সে টিকেট কাটতে যাবে না। সোমবার এ আমাকে ফোন করে বলবে, 'তুমি টিকেট কাট। কিভাবে কাটবে আমি জানি না, আমি খুব ব্যস্ত, তোমার সাথে পরে কথা হবে'। এরপর আমাকে গিয়েই টিকেট কেটে দিতে হবে। হাতে এখনও তিন দিন সময় আছে। আমি ভাবলাম টিকেট কেটে ফেলি। বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে গিয়ে আমি টিকেট কেটে ফেললাম।

সোমবার সকালে ঘটনা যা ঘটার তাই ঘটলো। অধরার ফোন। আমি বললাম, আমার কাছে টিকেট আছে, তুমি এসে নিয়ে যাও। সে বলে, কেন, তুমি যাচ্ছ না। আমি বললাম, যাচ্ছি, তবে সকালের দিকে তো প্রচন্ড জ্যাম থাকে রাস্তায়, তাই আমি এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে উঠবো। সে বলে, আমি যেতে পারবো না, তুমি আমার বাসায় এসে দিয়ে যাও। আমি বললাম, অফিসে বেশ কিছু কাজ জমে গেছে, আজ তো মনে হয় বের হতে পারবো না, আর এগুলো শেষ করতে না পারলে আগামীকাল ছুটি পাওয়া যাবে না। মনে হয় চাপাবাজিতে কিছু কাজ হলো। অধরা বলল, টিকেট লাগবে না, তুমি সিট নাম্বার বল। আমি সিট নাম্বার বললাম।

আমি অফিস থেকে বাসায় ফিরে গোসল, খাওয়া শেষ করে ব্যাগ গুছালাম। আজকে একটু অাগেভাগেই ঘুমাতে যাবো ঠিক করলাম। কিন্তু বারোটা বাজতে না বাজতেই আবার ফোন।
- আচ্ছা, তুমি কি একটু সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবেনা?
- কেন?
- আমি একা একা ট্রেনে বসে থাকতে পারবো না। তুমি সকালে আমার বাসায় এসে আমাকে নিয়ে যাও।
- দেখ, ট্রেন এর সময়টা একদম অফিস টাইমে। আমার কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
- আমি তোমাকে ডেকে দিব।
- (মহা ফ্যাসাদে পড়লাম মনে হচ্ছে।) আচ্ছা আমি তো এয়ারপোর্ট থেকে উঠছিই, নাকি? মাত্র ৩০ মিনিট সময়।
- আমি কিছু বললেই তুমি এটা সেটা বলে পাশ কাটিয়ে যাও। আমার জন্য একদিন একটু আগেভাগে ঘুম থেকে উঠতে পারবে না?
- (ভাল মুশকিল এ পড়া গেল) আচ্ছা ঠিক আছে, আমি তোমাকে তোমার বাসা থেকেই নিয়ে আসবো, কিন্তু আমাকে সকাল বেলা ঘুম থেকে ডেকে দিতে হবে।



দুই.

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে আমার তো মাথায় হাত। বাসের লাইনে শত শত লোক। কোন বাস নেই। ট্যাক্সি, সিএনজি অটোরিক্সা কিছুই নেই। আধঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর অনেক কায়দা কসরত করে একটা বাস এ উঠে পড়লাম। এখনও হাতে ঘন্টা দেড়েক এর মত সময় আছে, স্বাভাবিক অবস্হায় থাকলে গিয়ে আবার ফেরত আসা যাবে।

দশ মিনিট যেতে না যেতেই দেখি অবস্হা খারাপ। সামনে পেছনে জ্যাম। এদিকে সময় চলে যাচ্ছে। আমি এমন এক জায়গায় আছি, এখন বাস থেকে নামলে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। সবকিছু ছবির মত স্হবির হয়ে আছে। দশ মিনিট পর পর বাস একটু একটু করে সামনে আগায়। এইভাবে চলতে থাকলে সারাদিনেও স্টেশনে পৌঁছানো যাবে না। এরই মাঝে অধরার ফোন, 'কোথায় তুমি?' 'আমি বাসে, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম, আমি মনে হয় তোমার বাসা পর্যন্ত যেতে পারব না। তুমি স্টেশনে চলে আস, আমি সরাসরি স্টেশনে চলে যাচ্ছি।'

ট্রেন ছাড়ার যখন আধঘন্টার মত বাকি, আমি তখনও চারভাগের একভাগ রাস্তাও যেতে পারিনি। এবার আমি ফোন দিলাম, 'রাস্তার যে অবস্হা, তাতে আমি কোনভাবেই স্টেশনে যেতে পারব না, তুমি ট্রেনে ওঠে পড়, আমি এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে উঠবো।' অধরাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আমি বাস থেকে নেমে পড়লাম।

বাস থেকে নামার পর দেখি আরো বিপদ। এতক্ষণ তো বাসে ছিলাম, এখন তো দেখি কিছুই পাওয়া যায় না। আমার হাতে সময় আছে আর একঘন্টার মত। কি করবো ভেবে উঠতে পারছি না। এমন সময় আর একটা বাসে ওঠে পড়লাম। সেই একই অবস্হা। আমি বাসের ভেতর থেকে উঁকি-ঝুকি দিয়ে আশে পাশে ট্যাক্সি অথবা সিএনজি খুঁজছি। বাসের লোকজন মনে হয়, আমার কান্ড-কারখানায় বিরক্ত। এমনিতেই বাস এ ভিড়ের জন্য নড়াচড়া করার উপায় নেই তার উপর আবার একজন একবার ডানে আর একবার বামে যাচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অধরা ফোন করে জানালো যে, সে ট্রেনে এবং তার ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। এমনিতে ট্রেন পাঁচ থেকে দশ মিনিট দেরীতে ছাড়ে, আজকে একেবারে ঘড়ির কাটা ধরে ছেড়েছে। এরই নাম কপাল।

আমি যখন মোটামোটি একটু ফাঁকা রাস্তায় এসে পড়েছি তখন দেখি বাস গড়িমসি করা শুরু করেছে, একবার থামে, লোক নামায়, আবার লোক ওঠানোর জন্য এদিক সেদিক দাঁড়ায়। ঘড়িতে দেখি আর দশ বারো মিনিট সময় হাতে আছে। আমি ফোন দিলাম, 'আমি মনে হয় সময়মত স্টেশনে চলে যেতে পারবো। স্টেশনে পৌঁছা মাত্র আমি তোমাকে ফোন দিব। আমি যদি ফোন না দিই তাহলে তুমি ট্রেন থেকে নেমে যাবে।' 'এই অবস্হা? আচ্ছা।' এতক্ষণে একটা খালি সিএনজি পাওয়া গেল। ভাই আমি ট্রেন ধরব, আর পাঁচ-সাত মিনিট আছে, আপনি তাড়াতাড়ি যাবেন। পাঁচ মিনিটের মাথায় অধরার ফোন, 'ট্রেন স্টেশনে চলে এসেছে, কোথায় তুমি?' আমি তখন স্টেশনের কাছাকাছি, 'আমি প্রায় চলে এসেছি, তুমি ফোন রাখ, আমি আসছি।'

আমি যখন স্টেশনের ভেতর ঢুকছি, তখন ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। আমার ফোন বাজছে। আমার হাতে ফোন ধরার মত সময় নেই। আমি কোন দিকে না তাকিয়ে জোরেশোরে একটা দৌড় দিলাম।


তিন.

কোনমতে ট্রেনে উঠতে পেরেছি। এদিকে ফোন বেজেই চলেছে। হাঁপাতে হাঁপাতে আমি ফোন ধরলাম,
- আমি ট্রেনে উঠেছি, একটু অপেক্ষা কর, আমি আসছি।
- ট্রেনে উঠেছ মানে, তুমি আসছনা দেখে তো আমি ট্রেন থেকে নেমে পড়লাম। তোমার তো স্টেশনে এসে ফোন দেওয়ার কথা।
- ফাজলামি করবে না। আমি সিটের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।
এই কথা বলামাত্র সে ওপাশ থেকে লাইন কেটে দিল।

আমি সিটে পৌঁছে দেখি, সিটে কেউ নেই, ট্রেন তখন জোরে চলা শুরু করেছে। অধরাকে ফোন দিলাম। তার ফোনটি বন্ধ।



-- এই লিখার সমস্ত চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে বা অন্য কারোর মগজ-প্রসুত কল্পনার সাথে মিলে গেলে লেখককে দায়ী করা যাবে না।

ছেড়াপাতা!!!

১.

পারভেজ সাজ্জাদ ওরফে মোথা ভাই। মোথা ভাই নামের পিছনের হিস্টোরি হইল, আমাগো সাজ্জাদ ভাই নতুন সিগারেট খাওয়া শিখছে। তো শিহান তারে উপদেশ দিছে যে, যতদিন তুই নিজের টাকা দিয়া না কিনতেছস, তত দিন তুই অন্যের সিগারেট এর মোথা খাবি। সেই থেকে বাকি জুনিয়রগুলা তার নাম দিছে মোথা ভাই। এখন ঘটনা হইলো, এই নামে ডাকলে আমাগো মোথা ভাই হেভি চেইতা যায়। কিন্তু কোন লাভ হয় না। পুলাপাইন কম্পুটারের ডেস্কটপ এ মোথা ভাই লিখা দিয়া যায়। সিগারেট খাইয়া বাইরে থেকে নিভানো মোথা নিয়া আসে উনার জন্য। যাই হোক, একদিন মনে হয়, আমাগো মোথা ভাই এর মাথা একটু বিগড়াইয়া ছিল, সে শ্যামলরে (এক জুনিয়র) ধইরা দিল মাইর। কইল, নেক্সট টাইম ডাকলে খবর আছে।

মাইর খাইয়া শ্যামল এর মাথাই নষ্ট। তার মনে ব্যাপক কষ্ট। কষ্টের কারন আবার মাইর খাওয়া না। মোথা ভাই নামে ডাকতে না পারার যন্ত্রণা। কিছুক্ষণ পরে সে আইসা দেখি মিটি মিটি হাসতেছে। আমি জিগাইলাম কি হইছে? শ্যামল আমারে কয়, সাজ্জাদ ভাই এর নতুন নাম দিছি, পারু ভাই। আমি বললাম, পারু কেন? সে বলে, পারভেজ এর সংক্ষেপ পারু। সাজ্জাদ ও ততক্ষণে খেইপা গেছে।

পারভেজ সাজ্জাদ আমার বন্ধু মানুষ। ওরে একটা মাইয়ার নাম এ ডাকবো শুইনা আমার খারাপ লাগলো। মনে ব্যাপক কষ্ট পাইলাম। আমি কইলাম, না কাজটা একেবারে ঠিক হয় নাই। শ্যামলরে বললাম, ওরে মেয়েদের নামে ডাকতেছিস কেন? সংক্ষেপ করার ইচ্ছা হইলে নিয়ম মাইনা করতে হইবো। পারভেজ থেকে পা আর সাজ্জাদ থেকে সা নিয়া পাসা (পাছা) ভাই ডাকতে পারস।

বইলা আমি নাই। কে যায় গায়ে পইরা মাইর খাইতে। পরে শুনলাম, সাজ্জাদ তার মোথা নাম একসেপ্ট করছে। এখন তারে আমরা মোথা ভাই নামেই ডাকি।


২.

আমার আরেক বন্ধু আছে গান্জু। গান্জা খাইছে এর কোন প্রমান আমি এখনও জানি না, কিন্তুক সবাই ওরে কলেজ থেইকা নামি এই নামে ডাকে, তাই আমিও ডাকি। ওর লগে ভার্সিটির প্রথমদিকে আমার হেভ্ভি খাতির ছিল।

একদিনের ঘটনা। আমি আর গান্জা গেছি সাইবার ক্যাফেতে। গিয়া আমি মেইল চেক করতেছি। দেখি আমার খালু মেইল করছে। মেইলের ভাষা একটু বন্ধু বন্ধু টাইপ। আসলে আমার খালুর সাথে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। যাইহোক আমিও একটা রিপ্লাই দিলাম।

সাইবার ক্যাফে থেকে বাইর হইয়া আমরা রিক্সা নিয়া ভার্সিটিতে যাবো। রিক্সাতে উঠে গান্জু আমারে জিগায়, তোর খালুর সাথে তোর তো খুব ভালো সম্পর্ক। আমি বললাম, হ। তার বয়স কত? এইতো ধর ৩৫-৩৬ হইবো। তারপরের কোশ্চেন শুইনা তো আমি হা। শালায় কয়কি?

আমারে জিগায়, তোর খালু কি বিয়া করছে?


৩.

ভার্সিটিতে যখন আমি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি, তখনকার ঘটনা। আমাদের এক বন্ধু ছিল, নাম মুকুল। তো সেই পোলা খুব আতেল টাইপের। পরীক্ষা-পড়াশোনা নিয়া তার ব্যাপক টেনশন। তো ১ম সেমিস্টারের ১ম ভাইভা পরীক্ষা চলতেছে। আমার ভাইভা শেষ, কিছুক্ষণ পর মুকুলের ভাইভা শুরু হবে। বোর্ড থেকে বের হইয়া দেখি, সে ব্যাপক টেনশনের সাথে সবাইরে এইটা সেইটা জিগাইতেছে।

আমারে দেইখা সে আলাদা ডাইকা নিয়া জিগাইলো কি কি কোশ্চেন ছিল। আমি কইলাম। তারপর সে আমারে জিগায়, সে যে ড্রেস পরে আছে তাতে কোন সমস্যা আছে কিনা? আমি দেখলাম, প্যান্ট শার্ট ইন করে জুতা পইরা আছে। জুতা আবার চকচক করতেছে। আমার কাছে সব ঠিকই মনে হইলো।

কিন্তু হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি উকি দিল। আমি ওরে বললাম, তুই যে ইন করছস, সেইটা হাফ না ফুল? সে কয় বুঝাইয়া বল? আমি বললাম, হাফ ইন মানে হইল আন্ডারওয়ার সার্টের নিচে, আর ফুল ইন মানে সার্ট আন্ডারওয়ার এর নিচে যাবে। ভার্সিটির ডেকোরাম অনুযায়ী, ভাইভা বোর্ড এ ফুল ইন করে যাইতে হইবো। মুকুলের তো মাথায় হাত। সে কয়, তার ইন হইল হাফ। আমি কাচুমাচু মুখে বললাম, তাইলে কেমনে কি? সে আমারে তার হাতের বইপত্র দিয়া কইতেছে, দোস্ত তুই একটু দাড়া, আমি বাথরুম থেকে আসতেছি।

বাথরুম থেকে আসার পর ওরে দেইখা আমার যে হাসি পাইছে তা বলার মত না। সে ফুল ইন কইরা আসছে। আর ফুল ইন যাতে বোঝা যায়, সেই জন্য আন্ডারওয়ারটা একটু বাইর কইরা রাখছে :D

কিপ্টুস!!!

আমি তখন স্কুলে পড়ি, ক্লাস এইট কিংবা নাইনে। কোন এক কোরবানী ঈদের ঘটনা।

কোরবানীর ঈদে নামাজ পড়ে সবাই মোটামুটি ব্যস্ত থাকে কোরবানী দেওয়া নিয়ে। মাংস কাটা শেষ হলে আত্মীয় বা পাড়া-প্রতিবেশীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে মাংস দেওয়ার পালা। বিকেল বেলা বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজী আর সন্ধ্যার পর বিভিন্ন বন্ধুদের বাসায় গিয়ে খাওয়াদাওয়া - এই ছিল শিডিউল।

কিছুদিন যাবৎ এক টিচার এর কাছে একসাথে পড়ার সুবাদে আমাদের নতুন একটি বন্ধু জুটে গেছে। যা হোক, মূল ঘটনায় ফেরৎ আসি। সেই ঈদে মাংস কাটা শেষ হলে, আমি বের হয়েছি আমার বন্ধুদের বাসায় মাংস দেওয়ার জন্য। আমি আর আমার আর এক বন্ধু (আমরা পাশাপাশি বাসায় থাকতাম) ঠিক করলাম, দুই জন মিলে একসাথে যাবো। তো নতুন যে বন্ধু হয়েছে, তার বাসায় গিয়ে যখন হাজির হলাম তখন দেখি আংকেল (আমার বন্ধুর বাবা) বারান্দায় ইজিচেয়ারে বসে আছেন। আমাদের দেখে উঠে বললেন, আরে বাবা তোমরা, আস আস। কোলাকুলি পর্ব শেষ হবার পর আমরা মাংসের পুটলা উনার হাতে দিয়া বললাম, আংকেল যাই। আংকেল বলে, যাই মানে? ঈদের দিন আসছ, না খাইয়া কেমনে যাইবা। আমরা বললাম, না আংকেল, অনেকগুলা জায়গায় যাইতে হবে। সন্ধ্যার পরে আসতেছি। আংকেল বলে, আরে আসছ যখন, খাইয়া যাও। তোমার চাচী তো মাংস রান্না কইরা ফেলছে, একটু খাইয়া যাও। শেষে জোরাজোরিতে রাজি হলাম। আমাদের ভিতরের রুমে নিয়ে বসানো হলো। এর একটু পর আংকেল ভিতর থেকে আসলো, হাতে দুইটা প্লেট, দুইজনের জন্য। প্লেট দেখে তো আমাদের দুইজনের চক্ষু চড়কগাছ। দুইটা প্লেটে এক টুকরা করে দুইটা মাংস, আর দুইটা কাটা চামচ। আমরা একজন আর একজনের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে শেষপর্যন্ত হাতদিয়া মুখে তুলে খেয়ে ফেললাম। বাসা থেকে বের হবার পরে, আমার বন্ধু আর আমি প্রায় একসাথে বলে উঠলাম, কিপ্টুস।

ঘটনা এইখানেই শেষ নয়। সন্ধ্যার পরে আমরা ৯ বন্ধু মিলে বাসায় বাসায় ঘুরছি। ফেরার পথে রাস্তায় নতুন বন্ধুর সাথে দেখা, সে বলল বাসায় আয়, সারাদিন খুব দৌড়ের উপর ছিলাম, মাংস দিতে মটর সাইকেলে গ্রামের বাড়ী গেছিলাম। আমি আর আমার সেই বন্ধু (যে আগের বার গিয়েছিল) বললাম, দোস্ত খুব টায়ার্ড লাগতাছে, এখন বাসায় যাই, পরে যামু তোর বাসায়। সে নাছোড়বান্দা। কিছুতেই রাজি হয়না। শেষপর্যন্ত বন্ধুত্বের দোহাই দেওয়াতে আবার যেতে হলো। এবার আংকেল, আন্টি সবার সাথে দেখা। আড্ডাবাজির একপর্যায়ে আমরা বললাম উঠি, রাত হয়ে গেছে। আংকেল বলে, আরে খাওয়া দাওয়া করে যাও। আমি তাড়াতাড়ি বললাম, না আংকেল, খিদে নেই। সবার বাসায় বাসায় গিয়ে খাইতে হইছে, পেট ভর্তি। আংকেল বলে, আরে এখনই তো খাবার সময়, তোমাদের মত বয়সে .......।

কি আর করা, বসে আছি। এমন সময় ভিতর থেকে আমাদের নতুন বন্ধু আর তার বড়টা দেখি খাবার নিয়ে আসলো। একটা প্লেটে মাংস, একটা প্লেটে কাটাচামচ, আর আরো কিছু এক্সট্রা প্লেট। আমি দেখতেছি, আমার বন্ধুরা কি করে। মজা লওয়ার চেষ্টা ছিল। হঠাৎ দেখি, কেউ একজন আমার কানে কানে বলতেছে, দেখ দেখ, আমরা টোটাল ৯ জন, আর প্লেট দিছে ৭ টা, চামচও ৭টা, মাংসও ৭ পিস। আমি বললাম, আমরা দুপুরে একবার খাইয়া গেছি, তাই আমাদের ২ জনরে বাদ দিছে।

আমার নতুন বন্ধু দিকে চেয়ে দেখি বেচারা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। পরে আর কোনদিন আমার ওই বন্ধু ওদের বাসায় যেতে বলেনি।

ঢাকায় টাকা উড়ে, খালি ধরবার জানতে হয় B-)

ডিসক্লেইমার ১: এই ব্লগ পইরা অতিউৎসাহী কেউ ধরা খাইলে আমার কিছু করার নাই।

ডিসক্লেইমার ২: এই লেখার যাবতীয় চরিত্র ও ঘটনা বাস্তবিক থুক্কু কাল্পনিক ধইরা পড়তে হইবো, লেখক কি চিন্তা কইরা লেখছে সেইটা খুজার চেষ্টা করা যাইবো না।

এইবার তাইলে ঘটনায় আসি। ঘটনা আমার এক বন্ধুর কাছ থেইক্যা শুনা। তার বন্ধুর ঘটনা। আমার বন্ধুর বন্ধুর নাম ধরি রাসেল।

রাসেল একবার খুব টাকা পয়সার সমস্যায় পড়ছে। কি জানি এক দরকারে তার হাজার দশেক টাকার দরকার। কোন ভাবেই টাকার যোগাড় করা যাইতেছে না। এর কাছে, ওর কাছে চাইয়াও কোন লাভ হইতেছে না, কেউ ওরে টাকা ধার দিবার চায় না, অতীত হিস্টোরি কয়, রাসেল টাকা পয়সা ধার নিলে ফেরত দেওয়ার কথা ভুইল্যা যায়। কয়দিন এইদিক সেইদিক কইরা রাসেল গেল তার এক বন্ধুর কাছে, তার বন্ধু কয়, তরে আমি টাকা দিমু না, তয় একখান বুদ্ধি দেই, কামে দিব।

বন্ধুর বুদ্ধি মত রাসেল এক অফিসের দারোয়ানরে ম্যানেজ করল, ৫০০ টাকার বিনিময়ে সে এক শুক্রবারের জন্য অফিসের একটা রুম খোলার ব্যবস্থা করবো। তারপর হইলো আসল কাজ, একটা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ম্যানেজ করা আর প্রত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া। যাই হোক একাউন্ট ম্যানেজ কইরা সে পত্রিকায় একটা চাকুরির বিজ্ঞাপন দিল ওই অফিসের ঠিকানা দিয়া, শুক্রবারে সরাসরি ইন্টারভিউ, এর সাথে ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট লয়া আইতে হইবো।

যাউগ্গা, যথারীতি ইন্টারভিউ নেওয়া হইছে, রাসেল আর তার ২ বন্ধু মিলা সারাদিন ইন্টারভিউ নিছে। প্রত্যেক প্রার্থীরে জানাইয়া দেয়া হইছে, অন্য এক তারিখ এ পত্রিকায় রেজাল্ট দেওয়া হইবো, পরে আবার বিজ্ঞাপন দিয়া ৬ জনের নাম প্রকাশ করা হইছে যাগো ফাইনাল ইন্টারভিউ এর জন্য সিলেক্ট করা হইছে। এই ৬ জনের কেউ ওইখানে ইন্টারভিউ দিতে আসে নাইক্কা :P

রাসেল পরে আইসা আমার বন্ধুরে কাহিনী কইয়া বলছিল, দোস্ত ঢাকায় টাকা উড়ে, খালি ধরবার জানতে হয়।

ধন্যবাদ!!!

অভিনন্দন বাংলাদেশ দলকে (১টা ছাগল বাদে), দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় এর জন্য।

আশ রা ফুল ভালো খেললে বাংলাদেশ জিতে, এখন খারাপ খেললেও জিতে। তো ওরে দলে রাখার কোন মানে হয়? শুধু শুধু পাবলিকের টেনশন বাড়ায়, দলের ব্যাটসমেনদের উপর চাপ বাড়ায়।

ধন্যবাদ সাকিব, ফর ক্যাপ্টেনস্ নক।
ধন্যবাদ রাকিব, ফর দ্যাট পার্টনারশিপ।

ধাঁধাঁ : গনিতজ্ঞ এবং গনিত-অজ্ঞ দের জন্য।

শেষ থেকে -
১২, ৩, ৬, ৭, ৪৫, ১০১, ১২, ২১, ১, ১৩, ১, ০, ০, ২, ৪, ০, ২৪, ৩৪, ১, ৩৫।

বলেন তো এই সংখ্যাগুলো কি?

একটু সহজ করে দেই।

শেষ ২০ টার যোগফল : ৩২২; গড় : ১৬.১
শেষ ১০ টার যোগফল : ২২১; গড় : ২২.১

০ আছে : ৩ বার
১ - ৯ আছে : ৮ বার
১০ - ১৯ আছে : ৩ বার
২০ - ২৯ আছে : ২ বার
৩০ - ৪৯ আছে : ৩ বার
৫০ এর বেশি আছে : ১ বার


বি. দ্র. : যারা একটু খোজখবর রাখেন, তারা এর ধারা এর শুরুতে ৩ সংখ্যাটা বসিয়ে নিতে পারেন।

পথ...

মফস্বল শহরের রিকশাওয়ালাদের কাছে বাস কিংবা ট্রেনের যাত্রীরা হলো গিনিপিগ। তারা জানে, এরা দূর থেকে জার্নি করে ক্লান্ত হয়ে আসে, তখন কোনরকমে বাড়ি যেতে পারলেই এরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে, বিশেষকরে রাতের বেলা যেসব ট্রেন বা বাস এসে পৌছায়। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুন বা তিনগুন ভাড়া চাইতেও এরা কার্পণ্য করে না।

আমি তখন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কোন এক ছুটিতে বাড়ী যাব। ট্রেন থেকে নেমে রিকশা নেব। ১০ টাকার ভাড়া আমার কাছে ২৫-৩০ টাকা চাচ্ছে। কিছুক্ষণ দরকষাকষি করে আমি ক্লান্ত। মনে মনে ঠিক করলাম, এরপর ভাড়া ঠিক না করে উঠে পড়ব। যা হবার হবে।

"এই রিক্সা যাবে?" আমার এই প্রশ্নের জবাবে এক রিক্সাওয়ালা হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ল। আমি আর কোন কিছু জিঙ্গাসা না করে রিক্সায় উঠে পড়লাম। "নয়াপাড়া চল।" রিক্সাওয়ালা কোন কথা না বাড়িয়ে যাওয়া শুরু করল। রেলস্টেশন থেকে আমার বাসার যাবার জন্য শর্টকাট একটা রাস্তা আছে। রিক্সা ওই পথে না গিয়ে ঘুরপথে যাওয়া শুরু করতেই আমি বললাম, "ঘুরে যাইতেছ কেন? শর্টকাটে যাও।" "ওইদিকের রাস্তা ভাঙ্গা।" - রিক্সাওয়ালার জবাব। আমি বললাম, "ও আচ্ছা, ঠিক আছে।"

আপনে কি করেন? রিক্সাওয়ালার হঠাৎ প্রশ্নে আমি চকিত। আমি বললাম, পড়ালেখা করি। কই পড়েন? সিলেট। ও আচ্ছা, ভার্সিটিতে? আমি বললাম, হু। তুমি সিলেট গেছ কোন সময়? রিক্সাওয়ালার জবাব, না। ততক্ষনে, আমি আমার বাসার কাছাকাছি এসে পড়েছি। সামনে মোড়। আমাদের পাড়ার এলাকা শুরু। আমি কিছু বলার আগেই রিক্সাওয়ালা বামে মোড় নিল। আমি একটু অবাক হলাম, তবে কিছু বললাম না। একটু পরে আবার আমি কিছু বলার আগেই রিক্সাওয়ালা হাত দিয়ে সিগনাল দিয়ে হাঁক দিল, বামে থামবো...। রিক্সা ঠিকঠাক আমার বাসার গেট এর সামনে এসে দাঁড়ালো। এস.এস.সি পাশ করার পর থেকে আমি এখানে থাকি না। কোন রিক্সাওয়ালা আমার বাসা চিনতে পারে সেটা আমার কল্পনাতেও আসার কথা না। আমি রিক্সা থেকে নেমে অবাক হয়ে জিঙ্গাসা করলাম, তুমি আমার বাসা চেন? রিক্সাওয়ালা ঘাড় নেড়ে বলল, আপনে মনে হয় আমারে চিনতে পারেন নাই। আমি শীশ। আপনের সংগে ইস্কুলে পড়তাম। এইটুকু শোনার পর, আমার সারা শরীর যেন স্তব্দ্ধ হয়ে গেল। কিছুদূরে ল্যাম্পপোস্ট, আলো-আধারির মধ্যে আমি তখন তাকে চিনতে পারলাম, আমার স্কুল-জীবনের এক সহপাঠির মুখ। তার সাথে আমার কেটেছে অনেকটা সময়, খেলাধুলা অথবা পড়ালেখায়। সে কোন সময়ই ক্লাসের সেরা কয়েকজনের মধ্যে ছিলনা, আবার একেবারে শেষের সারিরও ছিল না। তুই রিক্সা চালাস কেন? পড়ালেখা করিস নাই? সে মাথা নিচু করে আছে। না, আব্বা মরার পর আর লেখাপড়া করি নাই। মায়ে আছে, ছোট ভাই-বোনরা আছে না? আমার দেখাশুনা করা লাগে।

আমার মনে পড়ে গেল কতবার ওদের বাসায় যেতাম। খেলার সময়, অথবা স্কুল ফাকি দিয়ে নদীতে নৌকায় ঘুরতে যাওয়ার আগে স্কুলব্যাগ ওদের বাড়ীতে রেখে যেতাম। কোনদিনও ওর আব্বার সাথে দেখা হয় নাই। আমিও কখনও জিঙ্গাসা করার প্রয়োজন মনে করিনি। সেও আমার বাসায় মাঝে মাঝে আসতো খেলার মাঠে যাওয়ার আগে। একের পর এক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে, স্ফটিক স্বচ্ছ্ব সবকিছুই।

রাত বাড়ছে, আমার বাসায় ঢুকতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। মা হয়ত টেবিলে খাবার নিয়ে বসে আছে। আমি মানিব্যাগ থেকে ১০০ টাকার একটা নোট বের করলাম। ওর হাতে দিলাম। সে টাকা ফেরত দেবার আগেই আমি বললাম, তুই রেখে দে, আমার কাছে ভাংতি নাই। সে বলে, ভাড়া তো ১০ টাকা। সে আমার দিকে ৯০ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বলল, টাকা রাখ, টাকা লাগবে না, তরে অনেকদিন পরে দেখলাম, ভালো লাগলো। পারলে আমার বাসায় আসিস। ঘুইরা যাইস। আমি কোন কথা না বাড়িয়ে রোবোটের মত টাকাগুলো নিলাম। ও বলল, ভালো থাকিস, ভালো ভাবে পড়ালেখা করিস, অনেক বড় হবি। রিক্সা নিয়ে সে চলে গেল। কিছুক্ষণ হতবাক দাড়িয়ে থেকে আমি কলিং বেল টিপলাম।

সারাদিনের লম্বা জার্নিও সেদিন আমার চোখে ঘুম আনতে পারেনি। দু জন শিশু একই রকম স্বপ্ন নিয়ে পড়ালেখা করতে যায়, দু জন কিশোর একই স্বপ্ন বুকে আকড়ে দিন কাটায়। বড় হবে, অনেক বড়। তাদের মধ্যে একজন শীশ এমন অকালেই ঝরে পড়ে! আমাদের স্পন্দন দারিদ্রতার কষাঘাতে এমনভাবে থেমে যায়!!!

কিছুই যখন করার নাই.... দাওয়াত দিলাম।

বাংলাদেশ সময় আজকে রাত ১১টা - ১২টা এই ১ ঘন্টা সময়ে কেউ কিছুই করতে পারবে না /:)। এই সময়ের মধ্যে -

# সামহোয়ারইন ব্লগে কেউ কিছু পোস্ট করবে না।
# ওই ১ ঘন্টা কোন লোডশেডিং থাকবে না (কি মজা)।
# কোন যানবাহন ১ সে. মি. নড়াচড়া করতে পারবে না।
# টিভিতে কোন অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে না (কেউ চাইলেও বিটিভি দেখতে পারবে না... বাইচ্যা গেছি;))।
# কোন দম্পতি ঝগড়া করতে পারবে না।
# কোন ছাত্র লেখাপড়া করতে পারবে না।
# কোন ছিনতাইকারি ছিনতাই করতে পারবে না (আরামে রাস্তাঘাটে ঘুরাঘুরি করা যাইবো)।
..........
..........




.........
# কেউ কিছুই করতে পারবে না।

অতএব, হুদা বইয়া থাইক্যা লাভ কি? আমার বাসায় আইসা পরেন। আপনাগো সবাইরে আমার দাওয়াত। রাইত ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এর মধ্যে আইসা পরেন। খাওয়ামু। তয় ১২ পরে আইলে বা ১১টার আগে কইলাম কাম অইব না।

আমার করিবার কিছু ছিল না - (দ্বিতীয় এবং শেষ অংশ)

প্রথম অংশ এইখানে

আমি সিদ্ধান্ত লইলাম, পরের দিন আগে আগে গিয়া হাজির হইবো, দেখিব কি হয়। সকাল দশটার মধ্যে আমি জায়গামত চলিয়া গেলাম। দেখি দস্তুর অবস্থা। লোকে লোকারণ্য। প্রার্থীদের সংখ্যার চাইতে উহাদের অভিভাবকদের সংখ্যাই বেশি। উনারা মুঠোফোনের মাধ্যমে এটা সেটা বলিতেছেন। আমি কয়েকজনকে প্রশ্ন করিয়া খুজিয়া পাইলাম, আমার ভাইভা দুপুর ১২টায়, ভূল বশতঃ রাত্রি ১২টা লিখা হইয়াছিল। যাহা হউক, আমি আমার জন্য নির্ধারিত কক্ষের সামনে অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। যথাসময়ে মাস্টার্স এর প্রার্থীদের ভাইভা শুরু হইলো। একজন করিয়া রুমের ভিতরে যাইতেছে, আর ২/৩ মিনিটের মাথায় বাহির হইয়া আসিতেছে। আমার ভিতরে টেনশন কাজ করা শেষ, এখন ঝড় শুরু হইবে এমন উপক্রম। এমন সময়, আমার পূর্বপরিচিত একজন মেয়ে অন্য একটি কক্ষ থেকে বাহির হইয়া আসিতেছে দেখিয়া উহাকে জিঞ্গাসা করিলাম, সেও কি আমার মতো উহাদের ডাকে এইখানে আসিয়াছে কিনা? মেয়েটি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়িল। তারপর কথাপ্রসঞ্গে বাহির হইল তাহার ক্রম আমার একজন আগে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই তাহার ডাক পড়িল। আমি দোয়া-দরুদ পড়িতে লাগিলাম আর মনে মনে প্রার্থনা করিতে লাগিলাম যাতে আমার বিভাগীয় প্রধান ভাইভা বোর্ড এ না থাকেন। একটু পরেই আমার ডাক পড়িল, কোন কিছু বোঝার আগেই সয়ংক্রিয়ভাবে ভাইভা বোর্ডের সামনে হাজির হইয়া গেলাম। আমার বিভাগীয় প্রধান নাই দেখিয়া অন্তরে শান্তি আসিল। অতঃপর ভাইভা শুরু হইলো:

প্রশ্নঃ আপনার নাম কি?
উত্তরঃ [আমি আমার নাম বলিলাম]।
প্রশ্নঃ কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
উত্তরঃ [আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলিলাম]।
প্রশ্নঃ আপনার এস এস সি এর নম্বর কত?
উত্তরঃ [আমি আমার এস এস সি এর নম্বর বলিলাম]।
প্রশ্নঃ আপনার এইচ এস সি এর নম্বর কত?
উত্তরঃ [আমি আমার এইচ এস সি এর নম্বর বলিলাম]।
প্রশ্নঃ আপনার গ্রাজুয়েশন এর রেজাল্ট কি?
উত্তরঃ [আমি আমার গ্রাজুয়েশন এর রেজাল্ট বলিলাম]।
প্রশ্নঃ আপনি কোন সালে গ্রাজুয়েশন করিয়াছেন?
উত্তরঃ [আমি আমার গ্রাজুয়েশন এর সাল বলিলাম]।
প্রশ্নঃ আপনি এখন কি করিতেছেন?
উত্তরঃ একটা সফটওয়্যার ফার্মে চাকুরি করিতেছি।
প্রশ্নঃ আপনার কোন পাব্লিশড পেপার আছে?
উত্তরঃ আছে।
আচ্ছা ঠিক আছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার ভাইভা শেষ।

আমি থতমত খাইয়া বোর্ড থেকে বাহির হইয়া দেখি প্রার্থীরা সবাই কানাঘুষা করিতেছেন। পরে তাহাদের মুখ হইতে জানিতে পারিলাম ওইদিন বিকালেই ফল প্রকাশ করা হইবে এবং তাহাদের সবাইকে একই প্রশ্ন করা হইয়াছিল। কোন কিছুই মাথায় ঢুকিল না, সোজা অফিসে আসিয়া হাজির হইলাম। আসার পূর্বে যোগাযোগের জন্য ফোন নাম্বার নিয়া আসিলাম।

সেইদিন বৈকালে অনেক চেষ্টা চরিত্র করিয়াও উহাদের মুঠোফোনে সংযোগ স্থাপন করিতে না পারিয়া ক্ষান্ত দিলাম। পরেরদিনও একই অবস্থা। অবশেষে, আমার এক বন্ধু হাত বাড়াইয়া দিলো। সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হইতে ল্যান্ডফোন হইতে ফোন করিয়া খোঁজ নিয়া আমাকে জানাইলো যে, ওই পোস্টের জন্য কাহাকেও নির্বাচন করা হয় নাই। আমি বলিলাম, একজনও না? সে বলিল, না।

আমি অবাক হইলাম, কারণ যে প্রশ্নগুলো করা হইয়াছিল তাহাতে সবারই ১০০% সঠিক উত্তর দেওয়ার কথা (এপ্লিকেশন এ সেইসব তথ্যগুলো দিতে হইয়াছিল), সেই হিসাবে সবারই তো সিলেক্টেড হইবার কথা। ২ খানা পোস্টের বিপরীতে ১০ জনকে লওয়া তো সম্ভব না, কিন্তু ১জনকেও লওয়া হইলো না এইটা কেমন কথা? অতঃপর, ভাবিতে লাগিলাম -

আমার কি করিবার কিছু ছিল?

আমার করিবার কিছু ছিল না - (প্রথম অংশ)

অনেক খাটাখাটনি হইলো, তাহাতে কি? এপ্লিকেশনটা তো করা হইলো। সেই সক্কাল থেকে অফিস বাদ দিয়া এইদিকে সেইদিকে দৌড়াইতেছি, আমি আর আমার বন্ধুদ্বয়। ফিরিবার পথে দেশের ব্যবস্হাপনার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করিতেছি, আর ভাবিতেছি, আর যাই হোক, কাজটা করা তো হইলো।

তার কিছুদিন পর বাসায় একখানা পত্র আসিয়া হাজির। পত্রের বিষয়বস্তু: আমাকে ডাকিয়াছে, উনাদের সাথে দেখা করিতে হইবে। আমি আনন্দিত হইয়া মুঠোফোনে আমার বন্ধুদ্বয়কে ফোন করিলাম। বলিলাম, বন্ধুরা, আমাকে তো ডাকিয়াছে, তোমাদিগের কি খবর? উহারা আমাকে নিরাশ করিয়া বলিল, না, তাহারা এমন কোন পত্র পায় নাই। আমি তো চিন্তায় পরিলাম। যাহা হউক, চিন্তা ভাবনা দূর করিয়া ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে আরম্ভ করিলাম, কি না কি কহিতে বলে, পরে না পারিয়া লজ্জা পাইতে হইবে। আমার টেনশন আরো প্রকট আকার ধারণ করিল যখন শুনিতে পাইলাম আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানও সাক্ষাৎকার বোর্ড এ আছেন। পুরাই মান - ইজ্জতের সওয়াল হইয়া দাড়াইয়াছে।

যাহা হউক, আমি অফিস হইতে কয়েক দিনের ছুটি লইলাম, বন্ধুদিগের কাছ হইতে দুই একটা করিয়া বইপত্র চাহিয়া লইয়া আসিলাম। অত:পর বই ত্যাগের প্রায় দেড় বৎসর পর আবার চেয়ার টেবিলে বসিয়া পড়াশুনা আরম্ভ করিলাম। ক্রমে ক্রমে পরীক্ষার দিনক্ষণ আগাইয়া আসিতে লাগিলো, আর আমার টেনশন বাড়িতে লাগিলো। পরীক্ষার আগের দিন বাসায় আমার মামা আসিয়া হাজির। উনি কহিলেন, ভাগিনা, কি করিতেছ? আমি বলিলাম, মামা কালকে আমার পরীক্ষা, ডিসটার্ব করিয়েন না। মামা বলিল, কিসের পরীক্ষা? আমি বলিলাম, স্কলারশিপের ভাইভা। মামা বলিল, অ, কয়টায়? আমি বিরক্ত হইয়া উহাকে আমার পত্রখানা হাতে ধরাইয়া দিলাম, বলিলাম, এইখানে লিখা আছে। তুমি দেখিয়া লও। মামা পত্রখানা হাতে নিয়া কিছুক্ষণ দেখিয়া আমার মুখের দিকে চাহিয়া কি জানি দেখিতে লাগিল। আমি বলিলাম, কি হইছে, কোন সমস্যা। মামা বলিল, ভাগিনা, তুমি কাহাদের নিকট পরীক্ষা দিতে যাইবে? ইহারা তো তোমাকে আজিকে মধ্য রাত্তিরে দেখা করিতে বলিয়াছে। আমি অবাক হইয়া বলিলাম, তাই নাকি? তারপর পত্রখানা হাতে লইয়া তো আমার চক্ষু চড়কগাছ। বাস্তবিকই আমাকে উহারা মধ্য রাত্রিতে দেখা করিতে বলিয়াছে। ঘড়ির কাটা তখন ৫টা পার হইয়া গিয়াছে। আমি অনেক খুজাখুজি করিয়াও পত্রে উহাদের যোগাযোগের নম্বর খুজিয়া পাইলাম না। অত:পর কি করা যায়, ভাবিয়া কূল কিনারা না পাইয়া সিদ্ধান্ত লইলাম, যা হওয়ার হইবে, দরকার হইলে স্কলারশীপ মিস হইবে তবুও আমি মধ্য রাত্তিরে ওদের ওইখানে যাইবো না :P

[টাইপ করা শেষ হওয়া মাত্র বাকি অংশ আসিবে :)]



দ্বিতীয় অংশ এইখানে

হায় সেলুকাস!!! কি বিচিত্র এই দেশ।

দেশ ডিজিটাল হইতাছে। আর এখনও তাছলিমা বেগম এর মত মায়েরা পেটের জন্য নিজের সন্তান বিক্রি করে।

এইখানে

Are we prepared for this?

Unexpectedly, the country is now polarized into two parts, one is supporting BDR and other is supporting Bangladesh Army. To be more appropriate, it can be said that they are blaming each other. It is also observed that our political leaders have started to blame opposition for the mutiny that took place inside BDR Headquarter. Still there is a belief in people’s mind that the mutiny was spontaneously done by the BDR jawans. Is it really the case? Was there no-body behind these less-educated people to do such a massive kill? Was it only for fulfillment of their demand? The answer is a big NO. There must exist some forces, which planned it and then executed it in very professional fashion within very short time using the rage of jawans against their officers.

Now, Bangladesh Army is the pride of country. It is showing its supremacy in every sector where it is brought into play in either home or abroad. We beg our hands to this force when we are in trouble knowing that they will pick us up from the worst. They are the most sophisticated part of our nation. To strike in the heart of such a force is not matter of joke. The incident of February 25 makes me to feel like December 14 of 1971, when they slaughtered the most intelligent sons of our nation.

In recent days, the people of Bangladesh is urging for the trial of war criminals. Decades have been passed away. These war criminals have washed many of our brains already to strengthen their base. In any condition, they haven’t done this for the welfare or the countrymen. Now, the appeal for the trial has got spotlight both by the people and the government. They are trying to threat, “DO NOT TRY TO TOUCH US, WE CAN DO ANYTHING”. They are making us to believe that they have their agents in every sector. The approach they took in every capturing is also similar to this very massacre. It is easy to motivate a comparatively weaker side, paramilitary rather military. And now we are watching their success.

Government must take proper initiatives to investigate in effective way thus no God-father can escape. The heart of these types of things should be uprooted. They must be taken under capital sentence; not only the doll like BDR people. Hundreds of souls of Army officers are waiting for that. Otherwise in one fine morning we all will find ourselves in a country like Afghanistan. Are we prepared for this?

X(

ঘটনাটা এ রকম।

একজনকে ডাঙ্গা থেকে পানিতে ফেলে দিলাম, তারপর সে কিছুক্ষণ লাফালাফি করার পর আবার তারে ডাঙ্গায় তুললাম। এইবার তারে খুশি করার জন্য বললাম, দেখছো আমি কত ভালো, তোমাকে পানি থেকে তুললাম।:P

এইটা কি কিছু হইলো নাকি? আমাকে ফেলার কি দরকার ছিল?

এখানে যেটা হলো তা হলো সস্তা নাটক। এইরকম বস্তাপচা কাহিনী মানুষকে আর কত খাওয়ানো যায়?

তুমি যদি নিজেকে এতই ভালো দাবি কর, তাহলে, যাদের পানিতে ফেলা দরকার তাদের পানিতে ফেল না কেন?

তুমি কেন বুঝতে চেষ্টা কর না (নাকি বুঝতে চাও না!!!) যে, ঝকঝকে তকতকে বেশ্যালয়ের থেকে আমার ভাঙাবাড়িই ভালো।

আনকভারিং আইডেন্টিটি - ১৯৭১:বাংলাদেশ।

বিজয় দিবসে কিছু একটা করার ইচ্ছা ছিল, একটা কুইজ সাইট চালু করলাম।

আপনারা সবাই একটু দেখে আসুন।

লিংক দিলাম এইখানে

===========

We all know the answer of the question "Tomader Ja Bolar Silo, Bolse Ki Ta Bangladesh?"

But why we are asking this question? Do you ever ask yourself? How many of us do think about it? A very few. How many days in a year we talk about our Liberation war? Maximum 3 to 4 days.

Our thoughts are becoming distracted day by day. The glorious history of Liberation War has become a vague term to many young people. At the same time, the War Criminals are trying to misguide general people. Bringing those killers and rapists of 1971 to justice will be the first step to answer the first question.

ওয়ান মিলিয়ন ডলার!!!

মানব: গড?
গড: বল।
মানব: একটা প্রশ্ন করি।
গড: কর।
মানব: এক মিলিয়ন বছর তোমার কাছে কতটুকু?
গড: এক মিলিয়ন বছর আমার কাছে মাত্র এক সেকেন্ড।
মানব: এক মিলিয়ন ডলার তোমার কাছে কতটুকু?
গড: এক মিলিয়ন ডলার আমার কাছে এক পেনির মত।
মানব: আমি কি তোমার কাছ থেকে একটি পেনি পেতে পারি?
গড: অবশ্যই, এক সেকেন্ড অপেক্ষা কর, দিচ্ছি!!!

সাদামেঘের ভেলার তীব্র প্রতিবাদ এবং আমার সাদাসিধে কথা!!!

গত ২০০৭-১০-৩০ তারিখ ১৬:৪৮:১৩ টার সময় সাদা মেঘের ভেলা জোকস্ শিরোনামে একটি পোস্ট করেন। তো সেই পোস্টটি সম্পর্কে আমি বলেছি যে, সেটি আমার ব্লগ থেকে কপি করা (৮ নং কমেন্ট)। উনি তার উত্তরে বলেন, কখগঘ ভাইকে বলছি, ভাই আমি আপনারটা পড়িনি, দেখিওনি। তাই আপনার অপবাদ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। - ১১ নং কমেন্ট।

সেই পোস্টটি যে আমার ব্লগ থেকে কপি করা হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। আমার সাথে তার কোন শত্রুতা নেই। এরপরও আমি বলছি যে, আমার ব্লগ সাদাসিধে কৌতুক এর কার্বন কপি হলো তার সেই পোস্টটি। আমি আমার পোস্টটি করেছিলাম ২০০৭-১০-১৮ তারিখ ১৫:১৭:৫৬ টার সময়।

দুটো পোস্ট কেউ মিলিয়ে দেখতে পারেন? একেবারে দাড়ি কমা সেমিকোলন সহ এক। আমার পোস্টটা একটা জোকস সাইট থেকে নেয়া। এখন কেউ বলতে পারেন যে, সাদামেঘের ভেলা ওই সাইট থেকে কপি করেছেন। এখানে আমার কথা হলো, সেটি সেখানে ইংরেজীতে লেখা ছিল। এবং কিছু পার্থক্যও ছিল আমার পোস্ট এর সাথে। আমি somewhereinblog এ দেয়ার জন্য তা অনুবাদ করি। এখন, আমার অনুবাদ হুবহু আর কারো অনুবাদের সাথে এক হতে পারে না। কারন, কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে।

আমি যেখান থেকে পড়েছি, তার লিংক দিলাম এইখানে। এই লিংক এর ৯ নং জোকস্ টা আমি অনুবাদ করি।

এখন সাদামেঘের ভেলা ভাই যদি বলতেন, আপনি কোথা থেকে নিয়েছেন, তা হলে আমার জন্য খুব সুবিধা হয়। কারন, আমি তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারি। হাজার হলেও তার আমার মস্তিস্ক একেবারে ১০০% মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে । না দেখাতে পারলে স্বীকার করাটাই কি ভালো ছিল না?

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার পোস্ট অন্য একজন রি-পোস্ট করেছেন, এতে আমি কোন কিছু বলতে চাইনি। কারন, সেটা কোন মৌলিক পোস্ট ছিল না। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদের কারণে বলতে বাধ্য হলাম।

একটি কথপোকথন এবং একখন্ড আমরা .......

রাত সাড়ে এগারটা, প্রায় নিস্তব্ধ ঢাকা, কল্যানপুর বাস কাউন্টারে উদ্বিগ্ন আমি, হাতে সিগারেট, পায়চারি করছি। রাতে আমার সিলেট যাবার কথা। সাথে আমার এক বন্ধু যাবে। শেষ বাস ছাড়বে রাত সোয়া বারটায়। আমার বন্ধুর মোবাইলে একের পর এক চেষ্টা করে যাচ্ছি। রিং হচ্ছে কিন্তু সে কল ধরছে না। মহা যন্ত্রণা। 'ভাই এইদিকে মোবাইল করা যায় কোনখানে?' - এই কথায় আমি পেছন ফিরে তাকালাম। দেখি প্রায় ১০-১২ বছরের একটা ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। পরনে প্যান্ট আর ছেড়া জামা। ভাই, এইখানে মোবাইলের দোকান নাই? রাত ৭ টায় দোকান বন্ধ। জানি। তাও বললাম, থাকার তো কথা, দেখ খোঁজ নিয়া। ছেলেটি চলে গেল।

রাত পৌনে বারটা, আমার বন্ধু এসে গেছে। টিকেট কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কাউন্টারের একটু দূরে একটা রিক্সা-ভ্যান। তার পাশে একটা সিগারেটের দোকান। বললাম, চল ওইদিকে যাই। কাছে গিয়ে দেখি ভ্যানের ওপর ছেলেটি বসে আছে। সিগারেট নিয়ে আসার সময় জানতে চাইলাম মোবাইলের দোকান পেয়েছে কিনা। বলল, না। আমি বললাম, এত রাতে তো মোবাইলের দোকান পাওয়া যাবে না। সমস্যা নাই - ছেলেটির উত্তর। আমার বন্ধু বলল, বাসের আরো প্রায় আধাঘন্টা বাকি আছে, চল ভ্যানে বসি।

কথা বলতে বলতে কেন জানি ছেলেটিকে জিগ্গেস করলাম, এই ভ্যান কি তোমার। না। তাইলে এত রাইতে এইখানে বইসা আছো কেন? আমারে একজন নিতে আইবো। কখন? তারে একটা মোবাইল করলেই আমারে আইসা নিয়া যাইবো। আমি বললাম, মোবাইল তো করতে পারলা না, এখন কি করবা। বইসা থাকমু। কালকে সকালে মোবাইল করমু। আমার বন্ধুর প্রশ্ন, নাম কি? বাবু। বাড়ি কই? রাজশাহী। ঢাকায় কই থাক? ঢাকায় আইলাম, চাচার বাসায় যামু। কখন আইছ? কতক্ষণ আগে। গাবতলী আইছি। তোমার চাচারে আগে জানাও নাই? জানাইছি, কিন্তু চাচা আইতে না করছিল। বেড়াইতে আইছ? না, কাম শিখবার আইছি। কি কাম? কাঠের কাম। লেখাপড়া না কইরা কাম শিখতে আইছ কেন? বাপে মায়েরে ছাইড়া দিছে, মায়ে কইলো লেখাপড়া কইরা কি হইবো, যা কাম কর। তোমার চাচা কই থাকে? এইখানে লেখা আছে। মোবাইল আছে। বলে একটি কাগজ বের করে দিল। আমি বললাম, আমার কাছে মোবাইল আছে, তোমার চাচারে একটা মোবাইল করি। সে আইসা তোমারে নিয়া যাক। আপনের মোবাইল তন করলে, কত ট্যাকা দিওন লাগবো? টাকা দিওন লাগবো না। এমনিতেই মোবাইল কর।

আমার বন্ধু কাগজটা নিয়ে, আব্দুল্লাহপুরে আলম নামের একজনকে ফোন করল। আলম বলে, ভাই এত রাতে ফোন করছেন? আপনার কাছে একটা ছেলে আইছে, রাজশাহী থেকে, বাবু নাম। ও কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে আছে। আপনি নিয়া যান। হারামজাদারে আইতে না করছি তাও আইছে? যেইখান থেইকা আইছে সেইখানে পাঠাইয়া দেন। সেইখানে তো পাঠানি সম্ভব না। আপনার কাছে আইছে, আপনার নাকি কাঠের কাজ শিখানির কথা, আপনি আইসা নিয়া যান। বাচ্চা পোলা একলা একলা বইসা আছে। ভাই আমি আইতে পারুম না। আপনার এত দরদ, আপনি অরে বাড়িত পাঠাইয়া দেন।

তোমারে তো নিতে আইতে চায় না, কয় বাড়ি পাঠাইয়া দিতে? বাড়ি যাওয়া যাব না। ট্যাকা নাই। আমার বন্ধু বলল, আমি তোমারে বাসে তুইলা দিমু। বাড়ি যাওগা। না, বাড়ি যাওন যাইবো না, বাড়িত গেলে খামু কি? তাইলে কি করবা? এইখানে বইসা থাকমু। কাইল সকালে হের কাছে যামু। হে তোমার কেমন চাচা হয়। আমার বাপের লগে কাম করত। তাইলে তোমারে নিতে চায় না কেন? জানিনা। বন্ধুকে বললাম আরেকবার ফোন করতে। আমার বন্ধু আবার ফোন করলো। ভাই, এইছেলে তো যাইতো চায় না, বলে, আপনার কাছে যাবো, বাড়ি যাব না। আপনে ওরে পাঠাইয়া দেন, না পাঠাইতে চাইলে আপনার কামে যান। আমারে ফোন কইরেন না। ভাই একটা ছোট ছেলে আপনার কাছে আইছে, এখন সারারাত বইসা থাকবো নাকি? সেইটার আমি কি জানি। বলে ফোন কেটে দিল। এই ছেলে তোমারে তো নিতে চায় না। যাও, বাড়ি যাওগা, আমরা টিকিটের ব্যবস্থা কইরা দেই। না বাড়ি যাওন যাইবো না। তাইলে কই যাবা? হের কাছেই যামু, গেলে কিছু কইবো না। তাইলে বাসে কইরা যাওগা, বাস দেখাইয়া দেই। আমার কাছে ১০ ট্যাকা আছে। আমারে আইসা নিয়া যাব। এই ট্যাকা দিয়া মোবাইল করমু।

রাত বারোটার উপরে বেজে গেছে। আমাদের বাসের সময় হয়ে এলো বলে। আমি বন্ধুকে বললাম, চল কিছু টাকা দিয়া এইটারে ওইদিকের কোন বাসে তুলে দেই। আমার বন্ধুও সায় দিল। এই পোলা, তোমারে তোমার চাচার বাসার ওইদিকের বাসে তুইলা দেই। তাকে কিভাবে যেতে হবে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে একটা বাসে তুলে দিলাম। সাথে আরো ৫০ টা টাকা দিয়ে দিলাম। বাসের হেল্পারকে বলে দিলাম যে একে কোথায় নামিয়ে দিতে হবে। তারপর আবার আলমকে ফোন। ভাই বাসে তুইলা দিছি। গিয়া এইখানে থাকবো। আপনি কতক্ষণ পরে আইসা নিয়া যান। ভাই একবার না কইলাম নিতে পারুম না, আবার বাসে তুইলা দিলেন কেন?

সিলেটে যাবার পথে উজান-ভাটি রেস্টুরেন্টে বাস থামে। বাস থেকে নেমে, আবার ফোন করার চেষ্টা, আলমকে। ফোন বন্ধ। পরের দিনও অনেক চেষ্টা করেছি। সেই ফোন আর খোলা পাইনি। তারপর অনেক দিন পর সেই ছেলের কথা আর মনে ছিল না। আজ মনে পড়ল। এই ছেলের কি হয়েছিল জানতে পারিনি। আলমের ফোন নাম্বার হারিয়েও ফেলেছি। হয়তবা এরাই হবে রাস্তার ছেলে, এর দোকান ওর দোকান থেকে চুরি করবে, ধরা পড়বে, মার খাবে। হয়তো বা আরো খারাপ কোন কিছূ। আমরা এদেরকে দেখব, করুণার চোখে তাকাবো, অবহেলা করব।

এখন ভাবি, সেদিন কি কোন ভুল করেছি। এ ছাড়া কি অন্য কিছু করা যেত? আমার বন্ধু আসতে দেরি করায় এত টেনশন করেছি, আমার ছোটভাই সময়মত বাসায় না ফিরলে টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যায়। ফোনের পর ফোন করতে থাকি ওর নাম্বারে। এই হলাম আমি, আমাদের অংশ, একখন্ড আমরা।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আব্দুল্লাহপুরের সেই লোকটার নাম আলম ছিল কিনা ঠিক মনে নেই। আ জাতীয় অন্য একটা নাম হতে পারে।

লাঞ্চ উইথ গড!!!

আমার এক বন্ধু কয়েকদিন আগে আমাকে ই-মেইল করে একটা জোকস্‌ পাঠিয়েছে। আগে জোকস্‌টা বলে নেই, তারপর অন্য কথা বলব।

==============================

একটি ছোট বাচ্চা ছেলে গড এর সাথে দেখা করবে। সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারল যে, গড অনেক দূরে থাকে, আর তাই জার্নিটা খুব লম্বা। তো সে যাবার জন্য প্রিপারেশন নিতে শুরু করল। সে তার স্যুটকেস গুছিয়ে নিল। খাবার হিসেবে নিল, এক ব্যাগ পটেটো চিপস এবং কয়েক বোতল এনার্জি ড্রিংক্স।

অল্প কিছুদূর যাবার পর সে দেখতে পেল একজন বৃদ্ধা মহিলা একাকী একটি পার্কে বসে আছেন এবং কয়েকটি কবুতরের দিকে চেয়ে আছেন। ছেলেটি তার পাশে গিয়ে বসল, এবং তার স্যুটকেস খুলল। সে তার স্যুটকেস থেকে একটি এনার্জি ড্রিংক্স বের করল, খাবার সময় সে লক্ষ্য করল যে, মহিলাটি ক্ষুধার্ত। সে মহিলাটিকে পটেটো চিপস অফার করল এবং মহিলাটি খুশিমনে তা গ্রহন করলো এবং তার দিকে তাকিয়ে হাসলো।

তার হাসিটি এতোটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যে, ছেলেটি আবার তাকে একটি এনার্জি ড্রিংক্স দিল যাতে সে আবার হাসিটি দেখতে পায়। মহিলাটি আবার তার দিকে তাকিয়ে আগের মত হাসলো। ছেলেটি এতটাই অভিভূত হলো যে, সে সারাদিন মহিলাটির পাশে বসে রইল, খেল, কিন্তু কোন কথা বলল না।

সন্ধ্যার সময় ছেলেটি খুবই ক্লান্ত বোধ করছে, এবং সে যাবার জন্য ওঠে দাড়াল। কয়েকপা এগুবার পর সে হঠাৎ করে ঘুরে দাড়াল এবং দৌড়ে এসে মহিলাটিকে জড়িয়ে ধরল। মহিলাটি তাকে জড়িয়ে ধরে, সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর হাসিটি হাসল।

ছেলেটি তার বাড়ি ফিরে আসতেই তার মা তাকে অনেক হাসিখুশি, আনন্দিত দেখে জিগ্গেস করলেন, "আজকে তোমার কি হয়েছে? এত আনন্দিত লাগছে কেন?"। ছেলেটি বলল, "আজকে আমি গডের সাথে লাঞ্চ করেছি", তার মা আরো কিছু বলার আগেই সে আবার বলে ফেলল, "জান গডের হাসি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাসি"।

এরই মধ্যে, মহিলাটি খুশি মনে তার বাড়িতে ফেরত আসার পর তার ছেলে তাকে জিগ্গেস করল, "মা, আজকে তোমার কি হয়েছে? এত আনন্দিত লাগছে কেন?"। তার মা তাকে বলল, "আমি আজকে গডের সাথে পটেটো চিপস খেয়েছি। তুমি শুনে অবাক হবে যে, আমি যা আশা করেছিলাম সে তার থেকে বয়সে অনেক ছোট"।

===============================

কৌতুক - অবজার্বেশন পাওয়ার

মেডিকেল কলেজে একজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। তিনি তার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেন, "শোন তোমরা, কোন রুগীকে প্রেসকিপশন দেওয়ার আগে ভালো করে অবজার্ব করতে হবে। এখন আমি তোমাদের একটি অবজার্বেশন পাওয়ার এর টেস্ট নিব, দেখি তোমাদের অবজার্বেশন পাওয়ার কেমন?"

এই বলে তিনি একটি টেস্টটিউব বের করলেন। বললেন, এটি একটি ইউরিনের স্যম্পল। এটিকে ভালোভাবে অবজার্ব করতে হলে এর স্বাদ, গন্ধ সব টেস্ট করে দেখতে হবে। তো তিনি তার একটি আঙ্গুল টেস্টটিউব এ ডুবিয়ে তা মুখে দিয়ে দেখালেন। বললেন, ইউরিন টেস্ট করতে হয় এইভাবে। তারপর তিনি তার ছাত্রদের বললেন একে একে টেস্ট করতে।

ছাত্ররা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল। তারপর একজন সাহস করে, টেস্টটিউব হাতে নিয়ে টেস্ট করে দেখল। তার দেখাদেখি বাকি সবাই এক এক করে টেস্ট করলো। সবাই কোন না কোন মন্তব্য করলো। কেউ বলল, ঝাঁঝালো, কেউ বলল টক।

শেষ ছাত্র টেস্ট করার পর শিক্ষক বললেন, "তোমাদের অবজার্বেশন পাওয়ার খুবই খারাপ, তোমরা কেউই খেয়াল করলে না যে আমি ২য় আঙ্গুল টেস্টটিউব এ দিয়েছি আর মুখে দিয়েছি ৩য় আঙ্গুল"।

সাদাসিধে কৌতুক

এক বুড়ো দম্পতির "ভুলে যাওয়ার সমস্যা" রোগ দেখা দিল। কিছুই তারা মনে রাখতে পারে না। তারা সিদ্ধান্ত নিল, ডাক্তার এর সাথে কথা বলবে। তো তারা ডাক্তার দেখাতে গেল।

ডাক্তার সবকিছু চেকআপ করার পর তাদের বলল, এটা হলো বয়সের সমস্যা। ডাক্তার তাদের বলল, আপনারা সবকিছু খাতায় লিখে রাখবেন, এ ছাড়া আপাতত আর কিছু করার নেই।

যাই হোক তারা বাড়ি চলে আসলো। আর সেদিন রাতে টেলিভিশন দেখার সময় স্ত্রী হঠাৎ করে রুমের বাইরে যাচ্ছে...

স্বামী: কোথায় যাও?
স্ত্রী: রান্নাঘরে।
স্বামী: আচ্ছা, আমার জন্য একটা আইসক্রিম নিয়ে আসবে।
স্ত্রী: আসবো।
স্বামী: খাতায় লিখে রাখ। নইলে আবার ভুলে যাবে।
স্ত্রী: আরে লাগবে না, মনে থাকবে।
স্বামী: থাকলে ভালো, আচ্ছা এক গ্লাস পানি নিয়ে আসতে পারবে?
স্ত্রী: পারবো না কেন?
স্বামী: এটা খাতায় লিখে রাখ।
স্ত্রী: লাগবে না, একটা আইসক্রিম আর এক গ্লাস পানি, এই তো।
স্বামী: হু, ঠিক আছে। আর শোন, একটা চানাচুর এর প্যাকেট নিয়ে এসো। এটা লিখে রাখ। এত কিছু মনে নাও থাকতে পারে।
স্ত্রী: আরে আমার স্মৃতি তোমার থেকে ভাল। মনে থাকবে। একটা আইসক্রিম, পানি আর চানাচুর এইতো।
স্বামী: হু।

২০ মিনিট পর। স্ত্রী রান্নাঘর থেকে ফেরত আসলো। তার হাতে একটি প্লেটে একটা কেক আর একটা ডিম।

স্ত্রী: এই নাও তোমার কেক আর ডিম।
স্বামী: আর বলেছিলাম না তোমার মনে থাকবে না। আনতে বললাম কফি আর আনলে কেক আর ডিম।

ডিশ লাইন নিতে চাই...

আমি একটি ডিশ সংযোগ নিতে চাই। কিন্তু যা খুঁজিতেছি তা পাইতেছিনা।

কেউ কি আমাকে বলবেন যে, স্টার প্লাস, সনি, স্টার আনন্দ এইগুলো ছাড়া ডিশ সংযোগ কোথায় পাওয়া যায়।

[ অতি জরুরি, বড় কষ্টে আছি ]

সাতাঁর - একটি কৌতুক

তিন লোক প্রতিবন্ধি সাতাঁর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেছে। তাদের মধ্যে একজনের হাত নেই, আর একজনের পা নেই, আর শেষ জনের শুধু মাথা আছে কিন্তু শরীর নেই।

সাতাঁর শুরু হলো। হাত ছাড়া লোকটি প্রথমেই লিড নিয়ে নিল। এবং সেই সাথে পা ছাড়া লোকটি এগিয়ে আসতে লাগলো। আর শুধু মাথা সহ লোকটি তলিয়ে যেতে শুরু করলো।

কিছু সময় পরে, পা ছাড়া লোকটি যখন প্রথম স্থানে থেকে সাতাঁর শেষ করলো, তখন সে দেখতে পেলো যে, পানির নিচ থেকে বুদবুদ বের হচ্ছে। তাই সে পানির নিচে চলে গেল আর মাথাটাকে তুলে আনল।

কিছুক্ষণ কাশাকাশি করার পর যখন মাথাটা সুস্থ বোধ করছে, তখন সে মাথাকে জিগ্গাসা করল, "তুমি হাত পা ছাড়া সাতাঁর কাটতে এসেছ কেন?"।

মাথাটা উত্তর দিল, "আরে তিন বছর ধরে আমি কান দিয়ে সাতাঁর কাটা শিখলাম, আর এখানে সাতাঁর শুরু হবার আগে কে যেন মাথায় সুইমিং ক্যাপ পরিয়ে দিল"।

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১০

Scholarship Guidelines for Graduate Studies - Basic

This article is for those who have intention for higher studies and looking for scholarships. I have tried to share my experience here of searching for scholarships mainly in USA/CANADA/AUSTRALIA.

Now, come to the point directly. At first you have find out which university or country you want to apply for.

Here goes some general requirement that I can say from my experience.

USA:

1. GRE (mandatory for almost all the universities)
2. TOEFL (95-105) (mandatory for almost all the universities) - Some universities accept IELTS (6.5-7.5) instead.
3. Research Proposal or Statement of Purpose. In extreme case, both of them.
4. GPA above 3.50.

CANADA:

1. GRE (mandatory for a few universities)
2. TOEFL (95-105) (mandatory for almost all the universities) - Some universities accept IELTS (6.5-7.5) instead and SUST Engineering students have got exemption of ELP (English Language Proficiency) from 1/2 universities.
3. Research Proposal or Statement of Purpose. In extreme case, both of them.
4. GPA above 3.50.

AUSTRALIA:

1. GRE (not required in most cases).
2. IELTS (6.0-7.0) (mandatory for almost all the universities).
3. Research Proposal (mainly) or Statement of Purpose (occasionaly). In extreme case, both of them.
4. GPA above 3.50.

What you need to do after choosing the country?

0. Search for list of university names for the specific country.
1. Surf the internet for university sites (I preferred search with Computer Science key words in addition with university names).
2. Visit the university's graduate school faculties.
3. Do some research on their research interest and make a list of potential professors whose research interest coincide with yours one.
4. E-mail the potential professors stating that you are interested to do your graduate studies under his supervision. Don't forget to state your credentials in brief in the email body and please attach your subject specific resume with that mail for screening. I don't attach my transcript with my mail as its too big in size unless the professor asks for it in the reply mail.

What you will have to do after getting response from the professors?

In most cases the professors will ask for a research proposal/research intent which contains some research issues and guidelines to accomplish that proposal and your future thoughts: how your research can contribute in CS, what is your goal.

So, write down a research proposal within one or one and half pages (400-600 words). Do it specific. Remember you need not to go for detailed outline or have to finish it before finishing your graduate research! Take your time. You may take 7-15 days for preparing the proposal, sometimes you will get more than that depending on university deadline. Send it back to the professor for review.

Apply online via the university website. And then send the papers (hard copies) according to instruction within the deadline.

Application Sessions:

USA and CANADA

Fall (September) - Application deadlines of most universities resides between January and February.
Spring (January) - Application deadlines of most universities resides between June and August.
* Most of the universities don't take students for summer semesters.

AUSTRALIA

As I found, they mainly take students for their 1st semester that begins in April. The application deadline is October for most of the universities. Another session starts at September - October. For this session you need to complete your application before April or May.

Scholarships/Funding:

AUSTRALIA:

You need to win two seperate scholarships. One is for tution fee and other one is for living and travel cost. First one is given by the corresponding university generally. Second one may vary from your professor or research lab to Australian State Government or Australian Government.

CANADA or USA:

You will get a fund from professor and/or you can win partial scholarships like GA/TA. Their funds are divided into several parts. You need to win as most as possible. Specially in CANADA, you might not get full funding for MSc. But there are opportunities to work in COOP program. By working in COOP, you will get money as well as experience in a Canadian company related to your subject.

Some Renowned Scholarships:

* FULLBRIGHT (USA)

* International Postgraduate Research Scholarship (IPRS) - for Australia

* AUSAID
Australian Development Scholarships (ADS)
Australian Leadership Awards (ALA)

* Eramus Mundus (For UK)

* Commonwealth Scholarships

NB: GPA and Research proposal are not strict always. If you have a GPA of 3.00+ and you can show your research potential to your professor then you can win scholarships too. Sometimes they will take students below their required application scores (IELTS/GPA) if you can convince them. So, don't hesitate to write. Besides universities website-stated scholarships there are many hidden scholarships as well. If you don't write, they will not let you know. Even you can extend the deadline if you write to them!

Best of Luck for your applications!