গত ২০০৭-১০-৩০ তারিখ ১৬:৪৮:১৩ টার সময় সাদা মেঘের ভেলা জোকস্ শিরোনামে একটি পোস্ট করেন। তো সেই পোস্টটি সম্পর্কে আমি বলেছি যে, সেটি আমার ব্লগ থেকে কপি করা (৮ নং কমেন্ট)। উনি তার উত্তরে বলেন, কখগঘ ভাইকে বলছি, ভাই আমি আপনারটা পড়িনি, দেখিওনি। তাই আপনার অপবাদ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। - ১১ নং কমেন্ট।
সেই পোস্টটি যে আমার ব্লগ থেকে কপি করা হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। আমার সাথে তার কোন শত্রুতা নেই। এরপরও আমি বলছি যে, আমার ব্লগ সাদাসিধে কৌতুক এর কার্বন কপি হলো তার সেই পোস্টটি। আমি আমার পোস্টটি করেছিলাম ২০০৭-১০-১৮ তারিখ ১৫:১৭:৫৬ টার সময়।
দুটো পোস্ট কেউ মিলিয়ে দেখতে পারেন? একেবারে দাড়ি কমা সেমিকোলন সহ এক। আমার পোস্টটা একটা জোকস সাইট থেকে নেয়া। এখন কেউ বলতে পারেন যে, সাদামেঘের ভেলা ওই সাইট থেকে কপি করেছেন। এখানে আমার কথা হলো, সেটি সেখানে ইংরেজীতে লেখা ছিল। এবং কিছু পার্থক্যও ছিল আমার পোস্ট এর সাথে। আমি somewhereinblog এ দেয়ার জন্য তা অনুবাদ করি। এখন, আমার অনুবাদ হুবহু আর কারো অনুবাদের সাথে এক হতে পারে না। কারন, কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে।
আমি যেখান থেকে পড়েছি, তার লিংক দিলাম এইখানে। এই লিংক এর ৯ নং জোকস্ টা আমি অনুবাদ করি।
এখন সাদামেঘের ভেলা ভাই যদি বলতেন, আপনি কোথা থেকে নিয়েছেন, তা হলে আমার জন্য খুব সুবিধা হয়। কারন, আমি তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারি। হাজার হলেও তার আমার মস্তিস্ক একেবারে ১০০% মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে । না দেখাতে পারলে স্বীকার করাটাই কি ভালো ছিল না?
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার পোস্ট অন্য একজন রি-পোস্ট করেছেন, এতে আমি কোন কিছু বলতে চাইনি। কারন, সেটা কোন মৌলিক পোস্ট ছিল না। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদের কারণে বলতে বাধ্য হলাম।
শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০
একটি কথপোকথন এবং একখন্ড আমরা .......
রাত সাড়ে এগারটা, প্রায় নিস্তব্ধ ঢাকা, কল্যানপুর বাস কাউন্টারে উদ্বিগ্ন আমি, হাতে সিগারেট, পায়চারি করছি। রাতে আমার সিলেট যাবার কথা। সাথে আমার এক বন্ধু যাবে। শেষ বাস ছাড়বে রাত সোয়া বারটায়। আমার বন্ধুর মোবাইলে একের পর এক চেষ্টা করে যাচ্ছি। রিং হচ্ছে কিন্তু সে কল ধরছে না। মহা যন্ত্রণা। 'ভাই এইদিকে মোবাইল করা যায় কোনখানে?' - এই কথায় আমি পেছন ফিরে তাকালাম। দেখি প্রায় ১০-১২ বছরের একটা ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। পরনে প্যান্ট আর ছেড়া জামা। ভাই, এইখানে মোবাইলের দোকান নাই? রাত ৭ টায় দোকান বন্ধ। জানি। তাও বললাম, থাকার তো কথা, দেখ খোঁজ নিয়া। ছেলেটি চলে গেল।
রাত পৌনে বারটা, আমার বন্ধু এসে গেছে। টিকেট কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কাউন্টারের একটু দূরে একটা রিক্সা-ভ্যান। তার পাশে একটা সিগারেটের দোকান। বললাম, চল ওইদিকে যাই। কাছে গিয়ে দেখি ভ্যানের ওপর ছেলেটি বসে আছে। সিগারেট নিয়ে আসার সময় জানতে চাইলাম মোবাইলের দোকান পেয়েছে কিনা। বলল, না। আমি বললাম, এত রাতে তো মোবাইলের দোকান পাওয়া যাবে না। সমস্যা নাই - ছেলেটির উত্তর। আমার বন্ধু বলল, বাসের আরো প্রায় আধাঘন্টা বাকি আছে, চল ভ্যানে বসি।
কথা বলতে বলতে কেন জানি ছেলেটিকে জিগ্গেস করলাম, এই ভ্যান কি তোমার। না। তাইলে এত রাইতে এইখানে বইসা আছো কেন? আমারে একজন নিতে আইবো। কখন? তারে একটা মোবাইল করলেই আমারে আইসা নিয়া যাইবো। আমি বললাম, মোবাইল তো করতে পারলা না, এখন কি করবা। বইসা থাকমু। কালকে সকালে মোবাইল করমু। আমার বন্ধুর প্রশ্ন, নাম কি? বাবু। বাড়ি কই? রাজশাহী। ঢাকায় কই থাক? ঢাকায় আইলাম, চাচার বাসায় যামু। কখন আইছ? কতক্ষণ আগে। গাবতলী আইছি। তোমার চাচারে আগে জানাও নাই? জানাইছি, কিন্তু চাচা আইতে না করছিল। বেড়াইতে আইছ? না, কাম শিখবার আইছি। কি কাম? কাঠের কাম। লেখাপড়া না কইরা কাম শিখতে আইছ কেন? বাপে মায়েরে ছাইড়া দিছে, মায়ে কইলো লেখাপড়া কইরা কি হইবো, যা কাম কর। তোমার চাচা কই থাকে? এইখানে লেখা আছে। মোবাইল আছে। বলে একটি কাগজ বের করে দিল। আমি বললাম, আমার কাছে মোবাইল আছে, তোমার চাচারে একটা মোবাইল করি। সে আইসা তোমারে নিয়া যাক। আপনের মোবাইল তন করলে, কত ট্যাকা দিওন লাগবো? টাকা দিওন লাগবো না। এমনিতেই মোবাইল কর।
আমার বন্ধু কাগজটা নিয়ে, আব্দুল্লাহপুরে আলম নামের একজনকে ফোন করল। আলম বলে, ভাই এত রাতে ফোন করছেন? আপনার কাছে একটা ছেলে আইছে, রাজশাহী থেকে, বাবু নাম। ও কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে আছে। আপনি নিয়া যান। হারামজাদারে আইতে না করছি তাও আইছে? যেইখান থেইকা আইছে সেইখানে পাঠাইয়া দেন। সেইখানে তো পাঠানি সম্ভব না। আপনার কাছে আইছে, আপনার নাকি কাঠের কাজ শিখানির কথা, আপনি আইসা নিয়া যান। বাচ্চা পোলা একলা একলা বইসা আছে। ভাই আমি আইতে পারুম না। আপনার এত দরদ, আপনি অরে বাড়িত পাঠাইয়া দেন।
তোমারে তো নিতে আইতে চায় না, কয় বাড়ি পাঠাইয়া দিতে? বাড়ি যাওয়া যাব না। ট্যাকা নাই। আমার বন্ধু বলল, আমি তোমারে বাসে তুইলা দিমু। বাড়ি যাওগা। না, বাড়ি যাওন যাইবো না, বাড়িত গেলে খামু কি? তাইলে কি করবা? এইখানে বইসা থাকমু। কাইল সকালে হের কাছে যামু। হে তোমার কেমন চাচা হয়। আমার বাপের লগে কাম করত। তাইলে তোমারে নিতে চায় না কেন? জানিনা। বন্ধুকে বললাম আরেকবার ফোন করতে। আমার বন্ধু আবার ফোন করলো। ভাই, এইছেলে তো যাইতো চায় না, বলে, আপনার কাছে যাবো, বাড়ি যাব না। আপনে ওরে পাঠাইয়া দেন, না পাঠাইতে চাইলে আপনার কামে যান। আমারে ফোন কইরেন না। ভাই একটা ছোট ছেলে আপনার কাছে আইছে, এখন সারারাত বইসা থাকবো নাকি? সেইটার আমি কি জানি। বলে ফোন কেটে দিল। এই ছেলে তোমারে তো নিতে চায় না। যাও, বাড়ি যাওগা, আমরা টিকিটের ব্যবস্থা কইরা দেই। না বাড়ি যাওন যাইবো না। তাইলে কই যাবা? হের কাছেই যামু, গেলে কিছু কইবো না। তাইলে বাসে কইরা যাওগা, বাস দেখাইয়া দেই। আমার কাছে ১০ ট্যাকা আছে। আমারে আইসা নিয়া যাব। এই ট্যাকা দিয়া মোবাইল করমু।
রাত বারোটার উপরে বেজে গেছে। আমাদের বাসের সময় হয়ে এলো বলে। আমি বন্ধুকে বললাম, চল কিছু টাকা দিয়া এইটারে ওইদিকের কোন বাসে তুলে দেই। আমার বন্ধুও সায় দিল। এই পোলা, তোমারে তোমার চাচার বাসার ওইদিকের বাসে তুইলা দেই। তাকে কিভাবে যেতে হবে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে একটা বাসে তুলে দিলাম। সাথে আরো ৫০ টা টাকা দিয়ে দিলাম। বাসের হেল্পারকে বলে দিলাম যে একে কোথায় নামিয়ে দিতে হবে। তারপর আবার আলমকে ফোন। ভাই বাসে তুইলা দিছি। গিয়া এইখানে থাকবো। আপনি কতক্ষণ পরে আইসা নিয়া যান। ভাই একবার না কইলাম নিতে পারুম না, আবার বাসে তুইলা দিলেন কেন?
সিলেটে যাবার পথে উজান-ভাটি রেস্টুরেন্টে বাস থামে। বাস থেকে নেমে, আবার ফোন করার চেষ্টা, আলমকে। ফোন বন্ধ। পরের দিনও অনেক চেষ্টা করেছি। সেই ফোন আর খোলা পাইনি। তারপর অনেক দিন পর সেই ছেলের কথা আর মনে ছিল না। আজ মনে পড়ল। এই ছেলের কি হয়েছিল জানতে পারিনি। আলমের ফোন নাম্বার হারিয়েও ফেলেছি। হয়তবা এরাই হবে রাস্তার ছেলে, এর দোকান ওর দোকান থেকে চুরি করবে, ধরা পড়বে, মার খাবে। হয়তো বা আরো খারাপ কোন কিছূ। আমরা এদেরকে দেখব, করুণার চোখে তাকাবো, অবহেলা করব।
এখন ভাবি, সেদিন কি কোন ভুল করেছি। এ ছাড়া কি অন্য কিছু করা যেত? আমার বন্ধু আসতে দেরি করায় এত টেনশন করেছি, আমার ছোটভাই সময়মত বাসায় না ফিরলে টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যায়। ফোনের পর ফোন করতে থাকি ওর নাম্বারে। এই হলাম আমি, আমাদের অংশ, একখন্ড আমরা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আব্দুল্লাহপুরের সেই লোকটার নাম আলম ছিল কিনা ঠিক মনে নেই। আ জাতীয় অন্য একটা নাম হতে পারে।
রাত পৌনে বারটা, আমার বন্ধু এসে গেছে। টিকেট কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কাউন্টারের একটু দূরে একটা রিক্সা-ভ্যান। তার পাশে একটা সিগারেটের দোকান। বললাম, চল ওইদিকে যাই। কাছে গিয়ে দেখি ভ্যানের ওপর ছেলেটি বসে আছে। সিগারেট নিয়ে আসার সময় জানতে চাইলাম মোবাইলের দোকান পেয়েছে কিনা। বলল, না। আমি বললাম, এত রাতে তো মোবাইলের দোকান পাওয়া যাবে না। সমস্যা নাই - ছেলেটির উত্তর। আমার বন্ধু বলল, বাসের আরো প্রায় আধাঘন্টা বাকি আছে, চল ভ্যানে বসি।
কথা বলতে বলতে কেন জানি ছেলেটিকে জিগ্গেস করলাম, এই ভ্যান কি তোমার। না। তাইলে এত রাইতে এইখানে বইসা আছো কেন? আমারে একজন নিতে আইবো। কখন? তারে একটা মোবাইল করলেই আমারে আইসা নিয়া যাইবো। আমি বললাম, মোবাইল তো করতে পারলা না, এখন কি করবা। বইসা থাকমু। কালকে সকালে মোবাইল করমু। আমার বন্ধুর প্রশ্ন, নাম কি? বাবু। বাড়ি কই? রাজশাহী। ঢাকায় কই থাক? ঢাকায় আইলাম, চাচার বাসায় যামু। কখন আইছ? কতক্ষণ আগে। গাবতলী আইছি। তোমার চাচারে আগে জানাও নাই? জানাইছি, কিন্তু চাচা আইতে না করছিল। বেড়াইতে আইছ? না, কাম শিখবার আইছি। কি কাম? কাঠের কাম। লেখাপড়া না কইরা কাম শিখতে আইছ কেন? বাপে মায়েরে ছাইড়া দিছে, মায়ে কইলো লেখাপড়া কইরা কি হইবো, যা কাম কর। তোমার চাচা কই থাকে? এইখানে লেখা আছে। মোবাইল আছে। বলে একটি কাগজ বের করে দিল। আমি বললাম, আমার কাছে মোবাইল আছে, তোমার চাচারে একটা মোবাইল করি। সে আইসা তোমারে নিয়া যাক। আপনের মোবাইল তন করলে, কত ট্যাকা দিওন লাগবো? টাকা দিওন লাগবো না। এমনিতেই মোবাইল কর।
আমার বন্ধু কাগজটা নিয়ে, আব্দুল্লাহপুরে আলম নামের একজনকে ফোন করল। আলম বলে, ভাই এত রাতে ফোন করছেন? আপনার কাছে একটা ছেলে আইছে, রাজশাহী থেকে, বাবু নাম। ও কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে আছে। আপনি নিয়া যান। হারামজাদারে আইতে না করছি তাও আইছে? যেইখান থেইকা আইছে সেইখানে পাঠাইয়া দেন। সেইখানে তো পাঠানি সম্ভব না। আপনার কাছে আইছে, আপনার নাকি কাঠের কাজ শিখানির কথা, আপনি আইসা নিয়া যান। বাচ্চা পোলা একলা একলা বইসা আছে। ভাই আমি আইতে পারুম না। আপনার এত দরদ, আপনি অরে বাড়িত পাঠাইয়া দেন।
তোমারে তো নিতে আইতে চায় না, কয় বাড়ি পাঠাইয়া দিতে? বাড়ি যাওয়া যাব না। ট্যাকা নাই। আমার বন্ধু বলল, আমি তোমারে বাসে তুইলা দিমু। বাড়ি যাওগা। না, বাড়ি যাওন যাইবো না, বাড়িত গেলে খামু কি? তাইলে কি করবা? এইখানে বইসা থাকমু। কাইল সকালে হের কাছে যামু। হে তোমার কেমন চাচা হয়। আমার বাপের লগে কাম করত। তাইলে তোমারে নিতে চায় না কেন? জানিনা। বন্ধুকে বললাম আরেকবার ফোন করতে। আমার বন্ধু আবার ফোন করলো। ভাই, এইছেলে তো যাইতো চায় না, বলে, আপনার কাছে যাবো, বাড়ি যাব না। আপনে ওরে পাঠাইয়া দেন, না পাঠাইতে চাইলে আপনার কামে যান। আমারে ফোন কইরেন না। ভাই একটা ছোট ছেলে আপনার কাছে আইছে, এখন সারারাত বইসা থাকবো নাকি? সেইটার আমি কি জানি। বলে ফোন কেটে দিল। এই ছেলে তোমারে তো নিতে চায় না। যাও, বাড়ি যাওগা, আমরা টিকিটের ব্যবস্থা কইরা দেই। না বাড়ি যাওন যাইবো না। তাইলে কই যাবা? হের কাছেই যামু, গেলে কিছু কইবো না। তাইলে বাসে কইরা যাওগা, বাস দেখাইয়া দেই। আমার কাছে ১০ ট্যাকা আছে। আমারে আইসা নিয়া যাব। এই ট্যাকা দিয়া মোবাইল করমু।
রাত বারোটার উপরে বেজে গেছে। আমাদের বাসের সময় হয়ে এলো বলে। আমি বন্ধুকে বললাম, চল কিছু টাকা দিয়া এইটারে ওইদিকের কোন বাসে তুলে দেই। আমার বন্ধুও সায় দিল। এই পোলা, তোমারে তোমার চাচার বাসার ওইদিকের বাসে তুইলা দেই। তাকে কিভাবে যেতে হবে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়ে একটা বাসে তুলে দিলাম। সাথে আরো ৫০ টা টাকা দিয়ে দিলাম। বাসের হেল্পারকে বলে দিলাম যে একে কোথায় নামিয়ে দিতে হবে। তারপর আবার আলমকে ফোন। ভাই বাসে তুইলা দিছি। গিয়া এইখানে থাকবো। আপনি কতক্ষণ পরে আইসা নিয়া যান। ভাই একবার না কইলাম নিতে পারুম না, আবার বাসে তুইলা দিলেন কেন?
সিলেটে যাবার পথে উজান-ভাটি রেস্টুরেন্টে বাস থামে। বাস থেকে নেমে, আবার ফোন করার চেষ্টা, আলমকে। ফোন বন্ধ। পরের দিনও অনেক চেষ্টা করেছি। সেই ফোন আর খোলা পাইনি। তারপর অনেক দিন পর সেই ছেলের কথা আর মনে ছিল না। আজ মনে পড়ল। এই ছেলের কি হয়েছিল জানতে পারিনি। আলমের ফোন নাম্বার হারিয়েও ফেলেছি। হয়তবা এরাই হবে রাস্তার ছেলে, এর দোকান ওর দোকান থেকে চুরি করবে, ধরা পড়বে, মার খাবে। হয়তো বা আরো খারাপ কোন কিছূ। আমরা এদেরকে দেখব, করুণার চোখে তাকাবো, অবহেলা করব।
এখন ভাবি, সেদিন কি কোন ভুল করেছি। এ ছাড়া কি অন্য কিছু করা যেত? আমার বন্ধু আসতে দেরি করায় এত টেনশন করেছি, আমার ছোটভাই সময়মত বাসায় না ফিরলে টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যায়। ফোনের পর ফোন করতে থাকি ওর নাম্বারে। এই হলাম আমি, আমাদের অংশ, একখন্ড আমরা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আব্দুল্লাহপুরের সেই লোকটার নাম আলম ছিল কিনা ঠিক মনে নেই। আ জাতীয় অন্য একটা নাম হতে পারে।
লাঞ্চ উইথ গড!!!
আমার এক বন্ধু কয়েকদিন আগে আমাকে ই-মেইল করে একটা জোকস্ পাঠিয়েছে। আগে জোকস্টা বলে নেই, তারপর অন্য কথা বলব।
==============================
একটি ছোট বাচ্চা ছেলে গড এর সাথে দেখা করবে। সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারল যে, গড অনেক দূরে থাকে, আর তাই জার্নিটা খুব লম্বা। তো সে যাবার জন্য প্রিপারেশন নিতে শুরু করল। সে তার স্যুটকেস গুছিয়ে নিল। খাবার হিসেবে নিল, এক ব্যাগ পটেটো চিপস এবং কয়েক বোতল এনার্জি ড্রিংক্স।
অল্প কিছুদূর যাবার পর সে দেখতে পেল একজন বৃদ্ধা মহিলা একাকী একটি পার্কে বসে আছেন এবং কয়েকটি কবুতরের দিকে চেয়ে আছেন। ছেলেটি তার পাশে গিয়ে বসল, এবং তার স্যুটকেস খুলল। সে তার স্যুটকেস থেকে একটি এনার্জি ড্রিংক্স বের করল, খাবার সময় সে লক্ষ্য করল যে, মহিলাটি ক্ষুধার্ত। সে মহিলাটিকে পটেটো চিপস অফার করল এবং মহিলাটি খুশিমনে তা গ্রহন করলো এবং তার দিকে তাকিয়ে হাসলো।
তার হাসিটি এতোটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যে, ছেলেটি আবার তাকে একটি এনার্জি ড্রিংক্স দিল যাতে সে আবার হাসিটি দেখতে পায়। মহিলাটি আবার তার দিকে তাকিয়ে আগের মত হাসলো। ছেলেটি এতটাই অভিভূত হলো যে, সে সারাদিন মহিলাটির পাশে বসে রইল, খেল, কিন্তু কোন কথা বলল না।
সন্ধ্যার সময় ছেলেটি খুবই ক্লান্ত বোধ করছে, এবং সে যাবার জন্য ওঠে দাড়াল। কয়েকপা এগুবার পর সে হঠাৎ করে ঘুরে দাড়াল এবং দৌড়ে এসে মহিলাটিকে জড়িয়ে ধরল। মহিলাটি তাকে জড়িয়ে ধরে, সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর হাসিটি হাসল।
ছেলেটি তার বাড়ি ফিরে আসতেই তার মা তাকে অনেক হাসিখুশি, আনন্দিত দেখে জিগ্গেস করলেন, "আজকে তোমার কি হয়েছে? এত আনন্দিত লাগছে কেন?"। ছেলেটি বলল, "আজকে আমি গডের সাথে লাঞ্চ করেছি", তার মা আরো কিছু বলার আগেই সে আবার বলে ফেলল, "জান গডের হাসি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাসি"।
এরই মধ্যে, মহিলাটি খুশি মনে তার বাড়িতে ফেরত আসার পর তার ছেলে তাকে জিগ্গেস করল, "মা, আজকে তোমার কি হয়েছে? এত আনন্দিত লাগছে কেন?"। তার মা তাকে বলল, "আমি আজকে গডের সাথে পটেটো চিপস খেয়েছি। তুমি শুনে অবাক হবে যে, আমি যা আশা করেছিলাম সে তার থেকে বয়সে অনেক ছোট"।
===============================
==============================
একটি ছোট বাচ্চা ছেলে গড এর সাথে দেখা করবে। সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারল যে, গড অনেক দূরে থাকে, আর তাই জার্নিটা খুব লম্বা। তো সে যাবার জন্য প্রিপারেশন নিতে শুরু করল। সে তার স্যুটকেস গুছিয়ে নিল। খাবার হিসেবে নিল, এক ব্যাগ পটেটো চিপস এবং কয়েক বোতল এনার্জি ড্রিংক্স।
অল্প কিছুদূর যাবার পর সে দেখতে পেল একজন বৃদ্ধা মহিলা একাকী একটি পার্কে বসে আছেন এবং কয়েকটি কবুতরের দিকে চেয়ে আছেন। ছেলেটি তার পাশে গিয়ে বসল, এবং তার স্যুটকেস খুলল। সে তার স্যুটকেস থেকে একটি এনার্জি ড্রিংক্স বের করল, খাবার সময় সে লক্ষ্য করল যে, মহিলাটি ক্ষুধার্ত। সে মহিলাটিকে পটেটো চিপস অফার করল এবং মহিলাটি খুশিমনে তা গ্রহন করলো এবং তার দিকে তাকিয়ে হাসলো।
তার হাসিটি এতোটাই মনোমুগ্ধকর ছিল যে, ছেলেটি আবার তাকে একটি এনার্জি ড্রিংক্স দিল যাতে সে আবার হাসিটি দেখতে পায়। মহিলাটি আবার তার দিকে তাকিয়ে আগের মত হাসলো। ছেলেটি এতটাই অভিভূত হলো যে, সে সারাদিন মহিলাটির পাশে বসে রইল, খেল, কিন্তু কোন কথা বলল না।
সন্ধ্যার সময় ছেলেটি খুবই ক্লান্ত বোধ করছে, এবং সে যাবার জন্য ওঠে দাড়াল। কয়েকপা এগুবার পর সে হঠাৎ করে ঘুরে দাড়াল এবং দৌড়ে এসে মহিলাটিকে জড়িয়ে ধরল। মহিলাটি তাকে জড়িয়ে ধরে, সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর হাসিটি হাসল।
ছেলেটি তার বাড়ি ফিরে আসতেই তার মা তাকে অনেক হাসিখুশি, আনন্দিত দেখে জিগ্গেস করলেন, "আজকে তোমার কি হয়েছে? এত আনন্দিত লাগছে কেন?"। ছেলেটি বলল, "আজকে আমি গডের সাথে লাঞ্চ করেছি", তার মা আরো কিছু বলার আগেই সে আবার বলে ফেলল, "জান গডের হাসি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাসি"।
এরই মধ্যে, মহিলাটি খুশি মনে তার বাড়িতে ফেরত আসার পর তার ছেলে তাকে জিগ্গেস করল, "মা, আজকে তোমার কি হয়েছে? এত আনন্দিত লাগছে কেন?"। তার মা তাকে বলল, "আমি আজকে গডের সাথে পটেটো চিপস খেয়েছি। তুমি শুনে অবাক হবে যে, আমি যা আশা করেছিলাম সে তার থেকে বয়সে অনেক ছোট"।
===============================
কৌতুক - অবজার্বেশন পাওয়ার
মেডিকেল কলেজে একজন শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। তিনি তার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেন, "শোন তোমরা, কোন রুগীকে প্রেসকিপশন দেওয়ার আগে ভালো করে অবজার্ব করতে হবে। এখন আমি তোমাদের একটি অবজার্বেশন পাওয়ার এর টেস্ট নিব, দেখি তোমাদের অবজার্বেশন পাওয়ার কেমন?"
এই বলে তিনি একটি টেস্টটিউব বের করলেন। বললেন, এটি একটি ইউরিনের স্যম্পল। এটিকে ভালোভাবে অবজার্ব করতে হলে এর স্বাদ, গন্ধ সব টেস্ট করে দেখতে হবে। তো তিনি তার একটি আঙ্গুল টেস্টটিউব এ ডুবিয়ে তা মুখে দিয়ে দেখালেন। বললেন, ইউরিন টেস্ট করতে হয় এইভাবে। তারপর তিনি তার ছাত্রদের বললেন একে একে টেস্ট করতে।
ছাত্ররা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল। তারপর একজন সাহস করে, টেস্টটিউব হাতে নিয়ে টেস্ট করে দেখল। তার দেখাদেখি বাকি সবাই এক এক করে টেস্ট করলো। সবাই কোন না কোন মন্তব্য করলো। কেউ বলল, ঝাঁঝালো, কেউ বলল টক।
শেষ ছাত্র টেস্ট করার পর শিক্ষক বললেন, "তোমাদের অবজার্বেশন পাওয়ার খুবই খারাপ, তোমরা কেউই খেয়াল করলে না যে আমি ২য় আঙ্গুল টেস্টটিউব এ দিয়েছি আর মুখে দিয়েছি ৩য় আঙ্গুল"।
এই বলে তিনি একটি টেস্টটিউব বের করলেন। বললেন, এটি একটি ইউরিনের স্যম্পল। এটিকে ভালোভাবে অবজার্ব করতে হলে এর স্বাদ, গন্ধ সব টেস্ট করে দেখতে হবে। তো তিনি তার একটি আঙ্গুল টেস্টটিউব এ ডুবিয়ে তা মুখে দিয়ে দেখালেন। বললেন, ইউরিন টেস্ট করতে হয় এইভাবে। তারপর তিনি তার ছাত্রদের বললেন একে একে টেস্ট করতে।
ছাত্ররা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল। তারপর একজন সাহস করে, টেস্টটিউব হাতে নিয়ে টেস্ট করে দেখল। তার দেখাদেখি বাকি সবাই এক এক করে টেস্ট করলো। সবাই কোন না কোন মন্তব্য করলো। কেউ বলল, ঝাঁঝালো, কেউ বলল টক।
শেষ ছাত্র টেস্ট করার পর শিক্ষক বললেন, "তোমাদের অবজার্বেশন পাওয়ার খুবই খারাপ, তোমরা কেউই খেয়াল করলে না যে আমি ২য় আঙ্গুল টেস্টটিউব এ দিয়েছি আর মুখে দিয়েছি ৩য় আঙ্গুল"।
সাদাসিধে কৌতুক
এক বুড়ো দম্পতির "ভুলে যাওয়ার সমস্যা" রোগ দেখা দিল। কিছুই তারা মনে রাখতে পারে না। তারা সিদ্ধান্ত নিল, ডাক্তার এর সাথে কথা বলবে। তো তারা ডাক্তার দেখাতে গেল।
ডাক্তার সবকিছু চেকআপ করার পর তাদের বলল, এটা হলো বয়সের সমস্যা। ডাক্তার তাদের বলল, আপনারা সবকিছু খাতায় লিখে রাখবেন, এ ছাড়া আপাতত আর কিছু করার নেই।
যাই হোক তারা বাড়ি চলে আসলো। আর সেদিন রাতে টেলিভিশন দেখার সময় স্ত্রী হঠাৎ করে রুমের বাইরে যাচ্ছে...
স্বামী: কোথায় যাও?
স্ত্রী: রান্নাঘরে।
স্বামী: আচ্ছা, আমার জন্য একটা আইসক্রিম নিয়ে আসবে।
স্ত্রী: আসবো।
স্বামী: খাতায় লিখে রাখ। নইলে আবার ভুলে যাবে।
স্ত্রী: আরে লাগবে না, মনে থাকবে।
স্বামী: থাকলে ভালো, আচ্ছা এক গ্লাস পানি নিয়ে আসতে পারবে?
স্ত্রী: পারবো না কেন?
স্বামী: এটা খাতায় লিখে রাখ।
স্ত্রী: লাগবে না, একটা আইসক্রিম আর এক গ্লাস পানি, এই তো।
স্বামী: হু, ঠিক আছে। আর শোন, একটা চানাচুর এর প্যাকেট নিয়ে এসো। এটা লিখে রাখ। এত কিছু মনে নাও থাকতে পারে।
স্ত্রী: আরে আমার স্মৃতি তোমার থেকে ভাল। মনে থাকবে। একটা আইসক্রিম, পানি আর চানাচুর এইতো।
স্বামী: হু।
২০ মিনিট পর। স্ত্রী রান্নাঘর থেকে ফেরত আসলো। তার হাতে একটি প্লেটে একটা কেক আর একটা ডিম।
স্ত্রী: এই নাও তোমার কেক আর ডিম।
স্বামী: আর বলেছিলাম না তোমার মনে থাকবে না। আনতে বললাম কফি আর আনলে কেক আর ডিম।
ডাক্তার সবকিছু চেকআপ করার পর তাদের বলল, এটা হলো বয়সের সমস্যা। ডাক্তার তাদের বলল, আপনারা সবকিছু খাতায় লিখে রাখবেন, এ ছাড়া আপাতত আর কিছু করার নেই।
যাই হোক তারা বাড়ি চলে আসলো। আর সেদিন রাতে টেলিভিশন দেখার সময় স্ত্রী হঠাৎ করে রুমের বাইরে যাচ্ছে...
স্বামী: কোথায় যাও?
স্ত্রী: রান্নাঘরে।
স্বামী: আচ্ছা, আমার জন্য একটা আইসক্রিম নিয়ে আসবে।
স্ত্রী: আসবো।
স্বামী: খাতায় লিখে রাখ। নইলে আবার ভুলে যাবে।
স্ত্রী: আরে লাগবে না, মনে থাকবে।
স্বামী: থাকলে ভালো, আচ্ছা এক গ্লাস পানি নিয়ে আসতে পারবে?
স্ত্রী: পারবো না কেন?
স্বামী: এটা খাতায় লিখে রাখ।
স্ত্রী: লাগবে না, একটা আইসক্রিম আর এক গ্লাস পানি, এই তো।
স্বামী: হু, ঠিক আছে। আর শোন, একটা চানাচুর এর প্যাকেট নিয়ে এসো। এটা লিখে রাখ। এত কিছু মনে নাও থাকতে পারে।
স্ত্রী: আরে আমার স্মৃতি তোমার থেকে ভাল। মনে থাকবে। একটা আইসক্রিম, পানি আর চানাচুর এইতো।
স্বামী: হু।
২০ মিনিট পর। স্ত্রী রান্নাঘর থেকে ফেরত আসলো। তার হাতে একটি প্লেটে একটা কেক আর একটা ডিম।
স্ত্রী: এই নাও তোমার কেক আর ডিম।
স্বামী: আর বলেছিলাম না তোমার মনে থাকবে না। আনতে বললাম কফি আর আনলে কেক আর ডিম।
ডিশ লাইন নিতে চাই...
আমি একটি ডিশ সংযোগ নিতে চাই। কিন্তু যা খুঁজিতেছি তা পাইতেছিনা।
কেউ কি আমাকে বলবেন যে, স্টার প্লাস, সনি, স্টার আনন্দ এইগুলো ছাড়া ডিশ সংযোগ কোথায় পাওয়া যায়।
[ অতি জরুরি, বড় কষ্টে আছি ]
কেউ কি আমাকে বলবেন যে, স্টার প্লাস, সনি, স্টার আনন্দ এইগুলো ছাড়া ডিশ সংযোগ কোথায় পাওয়া যায়।
[ অতি জরুরি, বড় কষ্টে আছি ]
সাতাঁর - একটি কৌতুক
তিন লোক প্রতিবন্ধি সাতাঁর প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেছে। তাদের মধ্যে একজনের হাত নেই, আর একজনের পা নেই, আর শেষ জনের শুধু মাথা আছে কিন্তু শরীর নেই।
সাতাঁর শুরু হলো। হাত ছাড়া লোকটি প্রথমেই লিড নিয়ে নিল। এবং সেই সাথে পা ছাড়া লোকটি এগিয়ে আসতে লাগলো। আর শুধু মাথা সহ লোকটি তলিয়ে যেতে শুরু করলো।
কিছু সময় পরে, পা ছাড়া লোকটি যখন প্রথম স্থানে থেকে সাতাঁর শেষ করলো, তখন সে দেখতে পেলো যে, পানির নিচ থেকে বুদবুদ বের হচ্ছে। তাই সে পানির নিচে চলে গেল আর মাথাটাকে তুলে আনল।
কিছুক্ষণ কাশাকাশি করার পর যখন মাথাটা সুস্থ বোধ করছে, তখন সে মাথাকে জিগ্গাসা করল, "তুমি হাত পা ছাড়া সাতাঁর কাটতে এসেছ কেন?"।
মাথাটা উত্তর দিল, "আরে তিন বছর ধরে আমি কান দিয়ে সাতাঁর কাটা শিখলাম, আর এখানে সাতাঁর শুরু হবার আগে কে যেন মাথায় সুইমিং ক্যাপ পরিয়ে দিল"।
সাতাঁর শুরু হলো। হাত ছাড়া লোকটি প্রথমেই লিড নিয়ে নিল। এবং সেই সাথে পা ছাড়া লোকটি এগিয়ে আসতে লাগলো। আর শুধু মাথা সহ লোকটি তলিয়ে যেতে শুরু করলো।
কিছু সময় পরে, পা ছাড়া লোকটি যখন প্রথম স্থানে থেকে সাতাঁর শেষ করলো, তখন সে দেখতে পেলো যে, পানির নিচ থেকে বুদবুদ বের হচ্ছে। তাই সে পানির নিচে চলে গেল আর মাথাটাকে তুলে আনল।
কিছুক্ষণ কাশাকাশি করার পর যখন মাথাটা সুস্থ বোধ করছে, তখন সে মাথাকে জিগ্গাসা করল, "তুমি হাত পা ছাড়া সাতাঁর কাটতে এসেছ কেন?"।
মাথাটা উত্তর দিল, "আরে তিন বছর ধরে আমি কান দিয়ে সাতাঁর কাটা শিখলাম, আর এখানে সাতাঁর শুরু হবার আগে কে যেন মাথায় সুইমিং ক্যাপ পরিয়ে দিল"।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি
(
Atom
)