শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০

আমার করিবার কিছু ছিল না - (প্রথম অংশ)

অনেক খাটাখাটনি হইলো, তাহাতে কি? এপ্লিকেশনটা তো করা হইলো। সেই সক্কাল থেকে অফিস বাদ দিয়া এইদিকে সেইদিকে দৌড়াইতেছি, আমি আর আমার বন্ধুদ্বয়। ফিরিবার পথে দেশের ব্যবস্হাপনার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করিতেছি, আর ভাবিতেছি, আর যাই হোক, কাজটা করা তো হইলো।

তার কিছুদিন পর বাসায় একখানা পত্র আসিয়া হাজির। পত্রের বিষয়বস্তু: আমাকে ডাকিয়াছে, উনাদের সাথে দেখা করিতে হইবে। আমি আনন্দিত হইয়া মুঠোফোনে আমার বন্ধুদ্বয়কে ফোন করিলাম। বলিলাম, বন্ধুরা, আমাকে তো ডাকিয়াছে, তোমাদিগের কি খবর? উহারা আমাকে নিরাশ করিয়া বলিল, না, তাহারা এমন কোন পত্র পায় নাই। আমি তো চিন্তায় পরিলাম। যাহা হউক, চিন্তা ভাবনা দূর করিয়া ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে আরম্ভ করিলাম, কি না কি কহিতে বলে, পরে না পারিয়া লজ্জা পাইতে হইবে। আমার টেনশন আরো প্রকট আকার ধারণ করিল যখন শুনিতে পাইলাম আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানও সাক্ষাৎকার বোর্ড এ আছেন। পুরাই মান - ইজ্জতের সওয়াল হইয়া দাড়াইয়াছে।

যাহা হউক, আমি অফিস হইতে কয়েক দিনের ছুটি লইলাম, বন্ধুদিগের কাছ হইতে দুই একটা করিয়া বইপত্র চাহিয়া লইয়া আসিলাম। অত:পর বই ত্যাগের প্রায় দেড় বৎসর পর আবার চেয়ার টেবিলে বসিয়া পড়াশুনা আরম্ভ করিলাম। ক্রমে ক্রমে পরীক্ষার দিনক্ষণ আগাইয়া আসিতে লাগিলো, আর আমার টেনশন বাড়িতে লাগিলো। পরীক্ষার আগের দিন বাসায় আমার মামা আসিয়া হাজির। উনি কহিলেন, ভাগিনা, কি করিতেছ? আমি বলিলাম, মামা কালকে আমার পরীক্ষা, ডিসটার্ব করিয়েন না। মামা বলিল, কিসের পরীক্ষা? আমি বলিলাম, স্কলারশিপের ভাইভা। মামা বলিল, অ, কয়টায়? আমি বিরক্ত হইয়া উহাকে আমার পত্রখানা হাতে ধরাইয়া দিলাম, বলিলাম, এইখানে লিখা আছে। তুমি দেখিয়া লও। মামা পত্রখানা হাতে নিয়া কিছুক্ষণ দেখিয়া আমার মুখের দিকে চাহিয়া কি জানি দেখিতে লাগিল। আমি বলিলাম, কি হইছে, কোন সমস্যা। মামা বলিল, ভাগিনা, তুমি কাহাদের নিকট পরীক্ষা দিতে যাইবে? ইহারা তো তোমাকে আজিকে মধ্য রাত্তিরে দেখা করিতে বলিয়াছে। আমি অবাক হইয়া বলিলাম, তাই নাকি? তারপর পত্রখানা হাতে লইয়া তো আমার চক্ষু চড়কগাছ। বাস্তবিকই আমাকে উহারা মধ্য রাত্রিতে দেখা করিতে বলিয়াছে। ঘড়ির কাটা তখন ৫টা পার হইয়া গিয়াছে। আমি অনেক খুজাখুজি করিয়াও পত্রে উহাদের যোগাযোগের নম্বর খুজিয়া পাইলাম না। অত:পর কি করা যায়, ভাবিয়া কূল কিনারা না পাইয়া সিদ্ধান্ত লইলাম, যা হওয়ার হইবে, দরকার হইলে স্কলারশীপ মিস হইবে তবুও আমি মধ্য রাত্তিরে ওদের ওইখানে যাইবো না :P

[টাইপ করা শেষ হওয়া মাত্র বাকি অংশ আসিবে :)]



দ্বিতীয় অংশ এইখানে

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন